বছরে ৫ লক্ষ চাকরি, সব পরিবারকে মাসিক টাকা, ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি মমতার

এছাড়াও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, প্রত্যেক পরিবারের জন্য মাসিক টাকা সহ একাধিক প্রকল্প রয়েছে

Advertisement

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ করে দিলেন এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ইস্তাহার। এই ইশতেহারে রাজ্যের মানুষদের জন্য ঢালাও উপহার নিয়ে এসেছেন তিনি। রয়েছে বেকারদের কর্মসংস্থান, প্রত্যেক পরিবারের হাতে টাকা সহ আরো অনেক কিছু। ফলে বলা যেতে পারে বিধানসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল্পতরু রুটে চলে এলেন। তার আগে থেকেই জানাচ্ছে এটি কোন রাজনৈতিক ইস্তাহার নয়, এটি হলো রাজ্যের মানুষের জন্য অঙ্গীকার। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকা।

Advertisement

১) আগামী মে মাস থেকে বিধবাদের মাসিক ভাতা ১,০০০ টাকা হয়ে যাবে এবং তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে রেশন পৌঁছে দেওয়া হবে।

Advertisement

২) পশ্চিমবঙ্গকে ভারতের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি তৈরি করা এবং ৩৫ লক্ষ মানুষকে কাজ দেওয়া হবে। ১০০ দিনের কাজ সহ বিভিন্ন ভাবে এই কাজ দেওয়া হবে।

Advertisement

৩) প্রবীনদের বিশেষ ভাতা এবং বিধবাদের বিশেষ ভাতা দেওয়া হবে। এছাড়াও বাংলার প্রতিটি জেনারেল কাস্ট এর পরিবারকে প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের মাসে ১,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এতে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না, চাকরী করলেও এই টাকা পাওয়া যাবে।

৪) পড়ুয়াদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে। এখানে কোন গ্যারান্টার থাকবে না, সরকার গ্যারান্টার এর কাজ করবে। সুদের পরিমাণ হবে মাত্র ৪ শতাংশ।

৫) তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে কৃষকদের বার্ষিক ১০,০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও কন্যাশ্রী, শিক্ষাশ্রী এবং অন্যান্য বৃত্তি প্রদান করা হবে।

৬) প্রতি বছরে চার মাস ধরে দুয়ারে সরকার প্রকল্প চলবে। আগস্ট-সেপ্টেম্বর এবং নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে এই প্রকল্পের সুবিধা আপনারা পাবেন।

৭) বাংলা আবাস যোজনার মাধ্যমে ৩৩.৭ লক্ষ্য বাড়ি তৈরি করা হয়েছে এবং আগামী দিনে আরও ২৫ লক্ষ্য বাড়ি তৈরি করা হবে।

৮) পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখার জন্য বিশেষ উন্নয়ন বোর্ড তৈরি করবে সরকার। এছাড়াও, পাহাড় এবং তরাই ডুয়ার্স এর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করা হবে।

৯) ১০ লাখ ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্প কেন্দ্র তৈরি করবে সরকার।

১০) মাহিষ্য, তিলি, তামুল, সাহার মত সম্প্রদায়ের মানুষেরা ওবিসি শ্রেণীভূক্ত হন না। কিন্তু বর্তমানে তারা মণ্ডল শ্রেণীভূক্ত। এই কারণে তাদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। এই একই সুবিধা পাবেন মালদহের কিষান জাতির মানুষেরা বলে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।