Mamata Banerjee: ‘যশ’-এর ত্রাণ সরাসরি যাবে ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, নবান্নে ঘোষণা মমতার

রাজ্য সরকার ঝড় কবলিত এলাকায় ত্রাণের জন্যে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে

Advertisement

Advertisement

গতকাল যশ ঘূর্ণিঝড় এবং ভরা কোটালের দাপটে রাজ্যের একাধিক উপকূলবর্তী অঞ্চল জলের তলায়। রাজ্যের শতাধিক বাঁধ ভেঙে জল গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করেছে। ডুবে গিয়েছে চাষের জমি। লক্ষাধিক বাড়ি জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বিষয়ে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আজকের বৈঠকে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে কথা বলে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী রাজ্যের অবস্থার কথা জেনে নিয়েছেন। সেইসাথে মুখ্যমন্ত্রী ‘দুয়ারে সরকার’ মডেলে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।

Advertisement

আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, “রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় সাধারণ মানুষের সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। প্রত্যেকের কাছে ত্রাণ দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া হবে। দুয়ারে ত্রাণ পরিকল্পনায় প্রত্যেক ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় সরকারি আধিকারিকরা ক্যাম্প করবেন। আগামী ৩ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত দুয়ারে ত্রাণ ক্যাম্প করা হবে। এই ক্যাম্পে এসে সাধারণ মানুষ তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আধিকারিকদের চিঠি মারফত বা মুখে জানাবে। তারপর ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ১৫ দিন রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা খতিয়ে দেখবেন যে প্রভাবিত মানুষের ক্ষয়ক্ষতির যে পরিমাণ নথিভূক্ত হয়েছে তা আদৌ সত্যি নাকি। যদি সত্যি হয় তাহলে এবার ত্রাণের টাকা পাওয়া যাবে। সরকারি আধিকারিকদের রেইকি ছাড়া কারোর মুখের কথায় ত্রাণ পাওয়া যাবে না। রেইকি হয়ে গেলে রাজ্য সরকার আগামী ১ লা জুলাই থেকে ৮ ই জুলাই এক সপ্তাহের মধ্যে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেক প্রভাবিতর ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে দেবে। এতে কারোর টাকা পাওয়া বা না পাওয়ার প্রসঙ্গ আসবে না। এই ত্রাণের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মমতা ব্যানার্জি ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।”

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামীকাল মমতা ব্যানার্জি একাধিক ঝড় কবলিত এলাকায় দুর্গত পরিদর্শন করতে যাবেন। জানা গিয়েছে, আগামীকাল সকালে হেলিকপ্টারে করে কলকাতা থেকে প্রথমে তিনি হিঙ্গলগঞ্জ যাবেন। সেখানে ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান নেওয়ার পর সন্দেশখালির ধামাখালিতে রিভিউ মিটিং করবেন। সেখান থেকে কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করে তিনি পৌঁছে যাবেন সাগরে। সাগরের পর দিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন তিনি। এছাড়াও তারপর দিন দিঘাতে প্রশাসনিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় ফিরবেন।

Advertisement

Recent Posts