Cyclone Yaas: ‘যশ’ কবলিত দুর্গতদের জন্য রাজ্যের বরাদ্দ ১০০০ কোটি টাকা, ঘোষণা মমতার

এই অর্থ মূলত চাষের জমির পুনরুদ্ধার, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির পুননির্মাণ ও মেরামতি কাজে, ত্রাণের চাল, ডাল ও ত্রিপল দিতে ব্যবহার করা হবে

Advertisement

Advertisement

করোনা সংক্রমনের দাপটের মাঝেই গতকাল রাজ্যে আস্ফালন দেখিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় যশ। উড়িষ্যার বালেশ্বরে ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হলেও রাজ্যের একাধিক উপকূলবর্তী এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তারমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের সাথে জোট বেঁধে বাংলার মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল চন্দ্রগ্রহণের ভরা কোটাল। সকাল থেকেই উত্তাল হয়েছিল সমুদ্র। বেলা বাড়তেই ঘূর্ণিঝড় এর জেরে গ্রামে গ্রামে জল ঢুকে যায়। এছাড়া রাজ্যের শতাধিক বাঁধ ভেঙে একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। নষ্ট হয়ে যায় প্রচুর ধান জমি। মাছ মরে ভেসে ওঠে। ক্ষতি হয় লক্ষাধিক বাড়ির। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ নবান্নে একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তিনি ঘোষণা করেছেন যে ঘূর্ণিঝড় যশের ক্ষতিপূরণের জন্য রাজ্য সরকার ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করবে। এই অর্থ মূলত চাষের জমির পুনরুদ্ধার, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির পুননির্মাণ ও মেরামতি কাজে, ত্রাণের চাল, ডাল ও ত্রিপল দিতে ব্যবহার করা হবে।

Advertisement

নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী আজ দুয়ারে ত্রাণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, “রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় সাধারণ মানুষের সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। প্রত্যেকের কাছে ত্রাণ দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া হবে। দুয়ারে ত্রাণ পরিকল্পনায় প্রত্যেক ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় সরকারি আধিকারিকরা ক্যাম্প করবেন। আগামী ৩ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত দুয়ারে ত্রাণ ক্যাম্প করা হবে। এই ক্যাম্পে এসে সাধারণ মানুষ তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আধিকারিকদের চিঠি মারফত বা মুখে জানাবে। তারপর ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ১৫ দিন রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা খতিয়ে দেখবেন। রেইকি হয়ে গেলে রাজ্য সরকার আগামী ১ লা জুলাই থেকে ৮ ই জুলাই এক সপ্তাহের মধ্যে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেক প্রভাবিতর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পৌঁছে দেবে।”

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামীকাল মমতা ব্যানার্জি একাধিক ঝড় কবলিত এলাকায় দুর্গত পরিদর্শন করতে যাবেন। জানা গিয়েছে, আগামীকাল সকালে হেলিকপ্টারে করে কলকাতা থেকে প্রথমে তিনি হিঙ্গলগঞ্জ যাবেন। সেখানে ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান নেওয়ার পর সন্দেশখালির ধামাখালিতে রিভিউ মিটিং করবেন। সেখান থেকে কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করে তিনি পৌঁছে যাবেন সাগরে। সাগরের পর দিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন তিনি। তারপরের দিন সকালবেলা দিঘাতে আরেকটি রিভিউ মিটিং করার পর তৃণমূল সুপ্রিমো কলকাতায় ফিরবেন।

Advertisement