মুখ্যমন্ত্রী গ্রহণ করলের শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র, কালীঘাটের বাড়িতে জরুরী বৈঠক মমতার

Advertisement

Advertisement

গতকাল বহু জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মন্ত্রী পদ ত্যাগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তার ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আজ সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর সাথেই প্রশ্ন উঠেছে দলের আলোচনার সম্ভাবনা নিয়ে। তবে সূত্রের খবর, এখনও সংলাপের রাস্তা খোলা রাখা হয়েছে। আজ বিকেল সাড়ে ৫ টায় নিজের বাড়িতে দলীয় বৈঠক ডাকেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুমান করা হচ্ছে যে এই বৈঠকে আলোচনা করা হবে মন্ত্রী বণ্টন নিয়ে। কথা হতে পারে শুভেন্দুকে নিয়ে ও।

Advertisement

শুক্রবার দুপুরে নিজের মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্র হতে জানা গিয়েছে যে, এর পর তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে অনুরোধ করা হয় তাকে ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করার জন্য। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেননি শুভেন্দু। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী গ্রহণ করেন তার ইস্তফাপত্র। এর পরই নিজের বাড়িতে জরুরী বৈঠক ডাকেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে থাকবেন দলের সমস্ত হেভি ওয়েট নেতারা। থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সি, ফিরহাদ হাকিম ও। সেখানে আলোচনা হতে পারে শুভেন্দু অধিকারীর বিষয়ে। তার দলের অবস্থার বিষয়ে। শুভেন্দু অধিকারীর হাতে ছিল তিনটি দফতর। এই বৈঠকে সেই পদ গুলিই ভাগ করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই সূত্রের খবর। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিবহন দফতর দেওয়া হতে পারে ফিরহাদ হাকিম কে। অন্যদিকে সেচ দফতর পেতে পারেন রাজীব ব্যানার্জি।

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এইদিন দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ” মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া, আমি নিজের মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। আমি চাই, যত দ্রুত সম্ভব তা গ্রহণ করা হোক। একই বিষয় লিখে আমি রাজ্যপাল মহাশয়কে ও পাঠিয়েছি। আমি খুবই ধন্য যে, আমাকে রাজ্য প্রশাসন মন্ত্রিত্বপদে নিয়োগ করেছিল। আমি চেষ্টা করেছি নিজের প্রতিশ্রুতি রাখার। রাজ্যের মানুষকে সেবা করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।”

Advertisement

অন্যদিকে সূত্র হতে জানা গিয়েছে, বাংলা সফরে ডিসেম্বর মাসে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। বিশেষজ্ঞদের মতে শুভেন্দুর দল পরিবর্তন এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। তবে তার দল বদলের কথা খারিজ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি জানিয়েছেন,” আমরা দলের হয়ে শুভেন্দুর সাথে আলোচনা করব। আলোচনার সব রাস্তা এখনও প্রশস্ত।”