একাধিক বিতর্কের জের, সরিয়ে দেওয়া হলো উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসকে

মহুয়া দাস এর জায়গায় নতুন দায়িত্ব পাচ্ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য

Advertisement

Advertisement

একাধিক বিতর্কের জেরে এবারে অপসারিত হলেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস। বর্তমানে তার জায়গায় নতুন সভাপতি হয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। মহুয়া দাস এর তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত জানানো হয়নি কিছুই। তিনি জানাচ্ছেন এখনো পর্যন্ত তিনি কোন চিঠি পান নি। কিন্তু সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তাকে বদলি করা হয়েছে।

Advertisement

চলতি বছরে করণা ভাইরাসের কারণে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু তার মধ্যেও, বিকল্প পদ্ধতিতে মেধাতালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু এবারে সর্বোচ্চ নম্বর বলতে গিয়ে মহুয়া দাস একটি গোলমাল করে ফেলেন। তিনি বলেন, ” সর্বোচ্চ নম্বর ৪৯৯। যতটা পরিসংখ্যান দেখেছি তাতে একজন এই নম্বর পেয়েছে। মুর্শিদাবাদের এক মুসলিম কন্যা। ” মহুয়া দাস এর এই বক্তব্যের পর এই বিতর্কে ঝড় ওঠে নেট দুনিয়ায়। কেন তিনি কারো ধর্ম নিয়ে কথা বললেন সেই নিয়ে একাধিক সংবাদ মাধ্যম এবং নেট নাগরিকরা বিতর্ক শুরু করেন।

Advertisement

যদিও পরবর্তীকালে মহুয়া দাস নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ” আমি আবেগের বশে বলে ফেলেছি।” কিন্তু শুধু এটুকু নয়, এছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিস্তর গন্ডগোল হয়েছে। রিভিউ করার পরে অনেক পড়ুয়ার নম্বর বেড়েছে। তার ফলে, সংসদের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। তারপরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যখন ফল প্রকাশ করা হয় তখন বহু পরীক্ষার্থীকে ফেল করা হয়। প্রশ্ন ওঠে, যখন পরীক্ষা নেওয়া হয়নি তখন ফেল করা হয়েছে কেন? এই সমস্যা টানাপোড়েনের মাঝেই অগত্যা মহুয়া দাস কে সরাতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

মহুয়া দাস এর জায়গায় নতুন দায়িত্ব পাচ্ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। আগামী চার বছরের জন্য তিনি ওই পদে বহাল থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত মহুয়া দাস এর তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে হ্যাঁ, ধর্ম বিতরকের কারণে কিন্তু মহুয়া দাস কে শোকজ করা হয়েছিল। ফলতঃ মনে করা হচ্ছে এই ধর্ম বিতরকের কারনেই সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে মহুয়া দাস কে।

Recent Posts