জুলাই মাসেই আছড়ে পড়বে করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ, সুরক্ষিত থাকবে না শিশুরাও

মহারাষ্ট্র এই করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউকে আটকে দেওয়ার জন্য তৈরি করছে শিশুদের জন্য বিশেষ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট

Advertisement

Advertisement

করোনাভাইরাস এর প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়তেই একেবারে ভেঙে বসেছিল ভারতীয় অর্থনীতি এবং ভারতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা। এই কঙ্কালসার স্বরূপ এর উপরে উল্টো আরো একটি চাপ এসে হাজির। সেকেন্ড ওয়েভ অফ কোভিড ১৯। দ্বিতীয় ঢেউ সামলানো যাচ্ছে না, তারমধ্যে আশঙ্কা আর কিছুদিনের মধ্যেই আসতে চলেছে তৃতীয় ঢেউ। দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র। প্রত্যেকদিন প্রায় শয়ে শয়ে মানুষ মারা যাচ্ছেন এই ভাইরাসের কারণে।

Advertisement

তৃতীয় ঢেউ যদি আসে তাহলে ভারতের পক্ষে সামলানো আর সম্ভব হবে না। সেই কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি শুরু করে দিলো মুম্বাই। মহারাষ্ট্রের বৃহানমুম্বাই কর্পোরেশন শিশুদের জন্য তৈরি করেছে একটি পেডিয়াট্রিক করোনা কেয়ার ইউনিট। যে সমস্ত বাবা-মায়েরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের জন্য আলাদা করে ক্রেশ তৈরি করা হচ্ছে। শিশুদের আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা একটু বেশিই থাকবে কারণ জুলাই মাসে আসতে চলেছে করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ।

Advertisement

আগামী দুই মাসের মধ্যে মুম্বাইতে বেশকিছু কোভিডকেয়ার সেন্টার তৈরি করা হবে। এর মধ্যে থাকবে পেডিয়াট্রিক ওয়্যার্ড। সেখানে মোটামুটি ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের চিকিৎসা করা হবে। পূর্ব গুরগাও তৈরি হবে চিকিৎসা কেন্দ্র এবং সেখানে থাকবে মোটামুটি ৭০০ এর কাছাকাছি সংখ্যা বেড। এছাড়াও নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, এবং পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট তৈরি করা হবে।

Advertisement

এই সমস্ত করে মুম্বাই চাইছে যেন করোনাভাইরাস এর তৃতীয় ঢেউ আসলে অন্তত শিশুরা সুরক্ষিত থাকে। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আদিত্য ঠাকরে এবং অ্যাডিশনাল মিউনিসিপাল কমিশনার সঞ্জীব জয়সোয়াল এই নিয়ে একটি বৈঠক করলেন। এই বৈঠকেই শিশুদের জন্য বিশেষ ইউনিট তৈরি করার সমস্ত পরিকল্পনা তৈরি হলো। যদিও গত শিশুদের জন্য এই নতুন ইউনিট তৈরি করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।