লোকাল ট্রেনে চড়ে প্রচার লকেট চট্টোপাধ্যায়ের

আগামী ১০ এপ্রিল হুগলির চুঁচড়া বিধানসভা কেন্দ্রেনির্বাচন আছে যার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়

Advertisement

Advertisement

একুশে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে বাংলায়। গতকাল তৃতীয় দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। রাজ্যের ৩ টি জেলার ৩১ টি বিধানসভা কেন্দ্রে তৃতীয় দফা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এবার রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল চতুর্থ দফা নির্বাচনের জন্য পূর্ণ উদ্যমে ভোটপ্রচারের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। চতুর্থ দফা নির্বাচন হতে চলেছে আগামী ১০ এপ্রিল। এদিন হুগলির চুঁচড়া বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচন আছে। এই বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে তাঁর বিপক্ষ হিসাবে আছে তৃণমূলের অসিত মজুমদার ও বামেদের প্রণব কুমার ঘোষ। আগের নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছিলেন অসিত মজুমদার। এবার এই কেন্দ্রে তৃণমূল বিজেপির যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

Advertisement

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রস্তুতির জন্য বেশ অনেকদিন আগে থাকতেই প্রচারে নেমে পড়েছেন গেরুয়া সৈনিক লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি তার বিধানসভা কেন্দ্রের পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে প্রচার করছেন। কিছুদিন আগে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বাইকে ঘুরে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল। এমনকি তিনি নিজে স্কুটি চালিয়ে গ্রামের ভেতর গিয়ে মানুষের সাথে দেখা করে তাদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনেছিলেন। এছাড়াও তিনি গরুর গাড়ি চড়ে প্রচার করেছেন। গঙ্গাবক্ষে নৌকায় চড়ে গেরুয়া পতাকা দেখাতে দেখা গিয়েছিল তাকে। এমনকি কিছুদিন আগে সাইকেলে চড়ে অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে প্রচার করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “বাংলার মেয়েরা ছোট থেকে স্কুল থেকে শুরু করে কলেজ অব্দি সাইকেল ব্যবহার করে। তাই আমি সেই মাধ্যমকেই বেছে নিলাম প্রত্যেক মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাওয়ার জন্য।”

Advertisement

তবে আজ অর্থাৎ বুধবার লকেট চট্টোপাধ্যায় সকাল সকাল দলীয় কর্মীদের নিয়ে ব্যান্ডেল স্টেশনে পৌঁছে যান। এখানে টিকিট কেটে দলীয় কর্মীদের নিয়ে তিনি চড়ে পড়েন ৯ টা ৫ মিনিটের ব্যান্ডেল হাওড়া লোকালে। তিনি ট্রেনে চেপে নিত্যযাত্রীদের মাঝে বিজেপির প্রচার করেন। ট্রেনকে প্রচারের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়ে তিনি বলেছেন, “শহরতলীর ট্রেনে প্রায় প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে যাত্রী যাতায়াত করে। তাই তাদের সাথে ট্রেনে উঠে আজ আমি বিজেপির প্রচার করলাম।” এছাড়াও তিনি তৃণমূলের তারকা ভোটপ্রচারক জয়া বচ্চনকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “উনি বাংলার রাজনীতি বুঝেন না। উনি বাংলার মহিলা হতে পারেন এবং তার জন্য আমি খুব অ্যাডমায়ার করি ওনাকে। তার অনেক ছবি দেখেছি। কিন্তু উনি বাংলার রাজনীতির সাথে খুব একটা পরিচিত নয়। যাই হোক উনি ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।”

Advertisement