লকডাউনে ধান্দায় মন্দা, কীভাবে দিন কাটছে সোনাগাছির যৌনকর্মীরা?

Advertisement

Advertisement

অরূপ মাহাত: করোনা ভাইরাস মহামারী বিশ্ব জুড়ে যে আর্থিক মন্দা নিয়ে তা থেকে এখনই পরিত্রাণের উপায় নেই কারো। দীর্ঘদিন ধরে করোনা ভাইরাস জনিত লকডাউনের কারণে থমকে গিয়েছে অর্থনৈতিক কাজকর্ম। আর এর ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দিন আনি দিন খাই পরিবার গুলোতে নেমে এসেছে ঘোর আর্থিক সংকট। এই অবস্থায় একেবারে অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে যৌনকর্মীদের।

Advertisement

কোভিড ১৯ এর সংক্রমণের ভয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বাবুদের আসা যাওয়া বন্ধ হয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম যৌনপল্লী সোনাগাছিতে। গত ডিসেম্বর মাস থেকেই খদ্দের কমতে শুরু করেছিল যৌনকর্মীদের। লকডাউন শুরু হলে তা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে, বাবুদের মনোরঞ্জনে সর্বস্ব উজাড় করে দেওয়া যৌনকর্মীরা পড়ে যায় অনিশ্চিত এক অন্ধকারের মধ্যে।

Advertisement

অবশ্য, মাঝে মাঝে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা খাবার পৌঁছে দিয়ে যায়। তবে তাতে সংসার চলে না। তাই বিপল্প আয়ের সন্ধানে নামে সোনাগাছির যৌনকর্মীরা। অনেকে এলাকায় সবজি বিক্রি করতে শুরু করেন। আর যারা খদ্দের ধরতে পারছেন তারা অনলাইন সেক্সের মাধ্যমে কিছুটা আয় করার চেষ্টা করছেন। এই সেক্স চ্যাটের মূল্য নির্ধারণ করছেন নিজেরাই। বাবুদের মনোরঞ্জন করতে আধ ঘন্টার সেক্স চ্যাটে অনেকেই ৫০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন। সমস্ত লেনদেন হচ্ছে অনলাইনে। অনেক ক্ষেত্রে আবার যৌনকর্মীদের ঠকানোর অভিযোগ উঠছে বাবুদের বিরুদ্ধে। তবে, অচিরেই যদি যৌনপল্লীর দরজা না খোলে তাহলে ঘোর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাতে হবে সোনাগাছির যৌনকর্মীদের।

Advertisement

Recent Posts