করোনার করালগ্রাসে বিপর্যস্ত সোনাগাছির মহিলাদের জীবন, ৮৯ শতাংশ ঋণে জর্জরিত

Advertisement

Advertisement

করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই সম্পূর্ণ বন্ধ কলকাতার সব থেকে বড় রেড লাইট এরিয়া সোনাগাছির কাজ। আয়ের রাস্তা একেবারেই বন্ধ, তাই দিন গুজরানের জন্য সেখানকার মহিলারা নিয়েছিলেন চড়া সুদে মার্কেট থেকে ঋণ। কিন্তু এই ঋণ বর্তমানে তাদের বোঝা হয়ে গিয়েছে। একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, সোনাগাছির ৮৯% মহিলা ঋণে জর্জরিত। এর মধ্যে ৮১% মহিলা ঋণ নিয়েছেন বাজার থেকে চড়া সুদে।

Advertisement

আবার এই সমীক্ষার অন্য একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে, এই ঋণ নেওয়া ৯৩% মহিলা মেনে নিয়েছেন, এই ঋণ না মেটালে তার জীবনহানি অবধি হতে পারে। অনেকের সব কিছু ছেড়ে জীবন আবার নতুন ভাবে শুরু করার ইচ্ছে থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছেনা এই ঋণের চাপে। এর আগেও তারা অনেক ধার নিয়েছেন এবং সময়ে চুকিয়েও দিয়েছেন। কিন্তু এবারের ঘটনা সম্পূর্ণ আলাদা। এবারে তাদের আয়ের রসৎ একেবারেই প্রায় বন্ধ হতে বসেছে। তাই বর্তমানে সোনাগাছির মহিলাদের পরিস্থিতি বেশ ভয়াবহ।

Advertisement

অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিং অর্গানাইজেশনের করা এই সমীক্ষাতে এই রিপোর্ট সামনে এসেছে। তাদের রিপোর্ট, ৭৩% মহিলা সব ছেড়ে আসতে চাইছেন। কিন্তু তারা লকডাউনের সময়ে যে ঋণ নিয়েছেন, তারা এখন সেই ঋণ তাকে আগে শোধ করতে হবে। এই সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মহিলাদের ৯৮% বেশ্যাবৃত্তি ছেড়ে অন্য পেশায় যুক্ত হতে চান।

Advertisement

কিন্তু যেহেতু লকডাউনের সময়ে তাদের উপার্জনের সমস্ত রাস্তা বন্ধ ছিল, তাই তাদের বাধ্য হয়ে বাজার থেকে ঋণ নিতে হয়। তবে অনেকে আবার ঝুঁকি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন সোনাগাছিতে। সেখানকার অনেকের বক্তব্য, ঘরের ভাড়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য তো টাকা লাগেই। আর সেই কারণেই তাদের নিতে হয়েছিলো ঋণ। কিন্তু তারা এখন কিছু বুঝতে পারছেনা না, কি করে এই ঋণ শোধ করবেন।

সংস্থাটির মুখপাত্র তপন সাহা আমাদের জানিয়েছেন, এই জায়গার মহিলারা অনেক ঋণের বোঝার নিচে চাপা পড়ে আছেন। লকডাউন উঠলেও করোনা সংক্রমণ এখনও বহাল তবিয়তে চলছে। এখনও পরিস্থিতি আগের মত স্বাভাবিক হয়নি। এই মুহূর্তে এই মহিলাদের সাহায্যের জন্য প্রশাসনকে এগিয়ে আসা উচিত। তাদের উচিত এই মহিলাদের ঋণের বোঝা লাঘব করে তাদের সমস্যা কিছুটা হলেও মেটানোর।

Recent Posts