গত বছরের মার্চ মাস থেকে করোনা প্যানডেমিক বিশ্ববাসীর জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। চলতি বছরের শুরুতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও মার্চ মাসের শেষের দিকে করোনা সংক্রমণ গ্রাফের গগনচুম্বী রূপ রীতিমতো উদ্বেগে ফেলছে দেশবাসীকে। মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে দৈনন্দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। শেষ কয়েক দিনে দেশজুড়ে দৈনন্দিন সংক্রমণের সংখ্যা ১ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এই মুহূর্তে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রে সপ্তাহান্তে লকডাউন এবং নাইট কার্ফু চালু হয়ে গিয়েছে। মুম্বাই, দিল্লি, পুনে ইত্যাদি শহরে নাইট কার্ফু জোরদার করা হচ্ছে। করোনার এই সেকেন্ড ওয়েভ কি করে মোকাবেলা করা যাবে তা নির্ণয় করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে আজ ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মুম্বাইতে সপ্তাহান্তে লকডাউন ও অন্যান্য বিভিন্ন শহরে নাইট কার্ফু চালু হওয়ার পর সবার মনে একটাই প্রশ্ন এসেছিল যে এবার কি তাহলে গোটা দেশজুড়ে আবার আগের বছরের মতো লকডাউন চালু হয়ে যাবে? আজকের ভার্চুয়াল বৈঠকে তার জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন রাজ্যের করণা সংক্রমণ পরিসংখ্যান দেখে এখনই সম্পূর্ণ দেশে লকডাউন করার কোন দরকার নেই। বরং এখন মুম্বাইয়ের মত প্রত্যেকটি রাজ্যে নাইট কার্ফু চালু করতে হবে। যেহেতু রাতের দিকে বিভিন্ন জমায়েতে এই সংক্রমণ বেশি করে ছড়াচ্ছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এই নাইট কার্ফুকে এবার থেকে করোনা কার্ফু বলে অভিহিত করতে হবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় উপস্থিত থেকে বলেছেন যে গত বছর ভারতের কাছে ভ্যাকসিন না থাকা সত্ত্বেও আমরা ভাইরাসের প্রথম ওয়েভ থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে পেরেছিলাম। কিন্তু চলতি বছরে করোনার ভ্যাকসিন বাজারে চলে এসেছে। এখন প্রত্যেকটি রাজ্যের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে হবে। তাই নরেন্দ্র মোদি আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল অব্দি করোনা ভ্যাকসিন উৎসব পালন করতে বলেছেন। এই ভ্যাকসিন উৎসবে প্রত্যেকটি রাজ্য তাদের প্রয়োজন মত ভ্যাকসিন নিয়ে টিকাকরন প্রক্রিয়া দ্রুততা আনুক এমনটাই চাই কেন্দ্র।
এছাড়া ৪৫ বছরের উর্ধ্বে ব্যক্তিদের ভ্যাকসিন নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। সেই সাথে তিনি বলেছেন গত বছরের তুলনায় এখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বা মাস্ক পড়া নিয়ে অনেক শিথিল হয়ে গেছে মানুষজন। এমনটি করা কখনোই কাম্য নয়। সেইসাথে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের প্রশাসনকে করণা বিধি পালন করতে জোর দেওয়া হয়েছে।