নতুন বছরে আরও একটি বড় পদক্ষেপের দিকে এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ), ২০১৯ কার্যকর করতে প্রস্তুত সরকার। এক সরকারি কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই সিএএ বিধিগুলি জানিয়ে দেওয়া হবে। এপ্রিল-মে মাসে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
“আমরা শীঘ্রই সিএএ-র নিয়ম জারি করতে যাচ্ছি। এই নিয়ম জারি হওয়ার পরে, আইনটি কার্যকর করা যেতে পারে এবং যোগ্য ব্যক্তিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া যেতে পারে। পুরো প্রক্রিয়াটি হবে অনলাইনে। আবেদনকারীদের কোন বছর কাগজপত্র ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছেন তা জানতে হবে।” সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সিএএ বাস্তবায়নের ইঙ্গিত দিয়েছেন। গত ২৭ ডিসেম্বর তিনি বলেছিলেন, সিএএ কার্যকর হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না, কারণ এটি দেশের আইন। কলকাতায় বিজেপির এক সভায় অমিত শাহ বলেন, সিএএ বাস্তবায়ন বিজেপির অঙ্গীকার।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Now১৯৯৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের জন্য ২০১৬ সালে সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৬ (সিএবি) উত্থাপন করা হয়েছিল। সংসদ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সম্পর্কিত বিলটি অনুমোদন করেছিল এবং পরে রাষ্ট্রপতি সম্মতি জানিয়েছিলেন। দেশের কিছু অংশে এর বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল।
সিএএ-র আওতায় ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা নির্যাতিত অমুসলিম অভিবাসীদের (হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি ও খ্রিস্টান) ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। ১৯৫৫ সালের গার্ডিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী ৯টি রাজ্যের ৩০ টিরও বেশি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং স্বরাষ্ট্র সচিবকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এই রাজ্যগুলি হল গুজরাট, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, মহারাষ্ট্র। আসলে আশঙ্কা করা হয়েছিল যে বিপুল সংখ্যক লোককে বিদেশী অনুপ্রবেশকারী হিসাবে বহিষ্কার করা হবে।