হিন্দুদের উপর মুসলিমের অত্যাচারের দিনেই খেলা হবে দিবস? বিজেপির কটাক্ষের জবাব কি বললো তৃণমূল?

খেলা হবে দিবসে সব ব্লকে ফুটবল দেবে তৃণমূল কংগ্রেস

Advertisement

Advertisement

আগামী ১৬ আগস্ট দিনটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পালিত করছেন খেলা হবে দিবস হিসেবে। ইতিমধ্যেই এই দিবসের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে নিয়েছেন তিনি। এই কর্মসূচিকে সর্বজনীন চেহারা দেওয়ার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নিজেদের খেলা হবে দিবস করছে, অন্যদিকে বিজেপি পাল্টা কর্মসূচি গ্রহণ করা শুরু করছে। খেলা হবে শ্লোগান সামনে রেখে রাজ্যের সব ব্লকে যেখানে ফুটবল ম্যাচ করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে, সেখানে কিন্তু সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ একাধিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তৃণমূলের কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি গ্রহণ করছে বিজেপি।

Advertisement

তৃণমূলের দাবি, ১৯৮০ সালের ১৬ আগস্ট ইডেন গার্ডেন্সে যখন ফুটবল ম্যাচ খেলা হয়েছিল তখন একটি দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এতদিন পর্যন্ত ফুটবলের ইতিহাসে এটি একটি কালো দিন হিসেবে লেখা রয়েছে। কিন্তু এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এবার এই দিনে খেলা হবে দিবস পালন করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের খেলা হবে স্লোগানটি তুমুলভাবে জনপ্রিয়। কিন্তু, অপরপক্ষে বিজেপির পক্ষ থেকে কিন্তু অন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

Advertisement

১৯৪৬ সালের ১৬ আগস্ট তারিখেই মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নেতৃত্বে মুসলিম লীগ বাংলার হিন্দুদের উপরে চালিয়েছিল অকথ্য অত্যাচার। মুসলিম লীগের ওই কর্মসূচিটি মূলত নামাঙ্কিত হয়েছিল ডাইরেক্ট একশন ডে হিসেবে, যা পরবর্তীতে স্টেটসম্যান পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সম্পাদকীয় কলামের পরবর্তীতে পরিচিত হয় দ্যা গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস নামে। এই দিনে মূলত বাঙালি হিন্দুদের উপরে মুসলিমদের তরফ থেকে যে অত্যাচার নামিয়ে আনা হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির দাবি, খেলা হবে দিবস পালিত হলেও এই দিনটি বদল করা হোক।

Advertisement

যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, “একই দিনে নানা রকম ঘটনা থাকে। কিন্তু শকুন ভাগাড়ের দিকেই ধায়।” যদিও এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলবেই। এমনিতে সরকারি কর্মসূচিতে ১৬ আগস্ট রাজ্যের সমস্ত ক্লাব এবং সামাজিক সংগঠন কে এক সুতোয় বাধঁতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্রীড়া দপ্তর। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফ থেকে এক লক্ষ ফুটবল বিলির কথা ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের এই কর্মসূচিতে প্রত্যেক ব্লকের স্থানীয় বিধায়ক এবং প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠান আয়োজন করছেন। এ ছাড়াও একাধিক ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রে।

Recent Posts