বাংলার পরে এবার কেরালা থেকেও বাম উৎখাতনে নামছেন মমতা

কেরল তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেরলের জায়গায় জায়গায় হোডিং দেওয়া হয়েছে, দিদিকে ডাকো, দেশ বাঁচাও, দিল্লি চলো

Advertisement

Advertisement

দিদিকে ডাকো, দেশ বাচাও দিল্লি চলো, এই স্লোগান নিয়ে এবার এবার শাসিত রাজ্য কেরলের জেলায় জেলায় পোস্টার পড়লেও মমতা বন্দোপাধ্যায় কে নিয়ে। ইতিমধ্যেই, জাতীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত বড়ো মুখ হয়ে উঠেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কেরলের প্রত্যেকটি জেলায় বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে হোডিং লেখা হয়েছে। সেই হোর্ডিংয়ে রেখা রয়েছে, কল দিদি, সেভ ইন্ডিয়া, দিল্লি চলো। এই একই স্লোগান ব্যবহার করা হয়েছিল বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে, অর্থাৎ দিদিকে বল।

Advertisement

বামফ্রন্ট শাসিত বর্তমানে একমাত্র রাজ্য কেরালায় এই শ্লোগান দিয়ে এবারে নিজেদের প্রচার অভিযান শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই তৃতীয়বার বাংলায় ক্ষমতায় আসার পরে ভিন রাজ্য সংগঠন বৃদ্ধি করার কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, শুধুমাত্র সংগঠন বিস্তার করার নয় তারা চাইছেন রাজ্যের রাজ্য সরকার গঠন করতে। এই সরকার গঠন করার জন্য সবার আগে যেটা লাগবে সেটা হল দল গঠন করা। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা এবং অসমের মত উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলির দিকে নজর দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু দক্ষিণ ভারতের দিকে যেহেতু বিজেপির প্রভাব একটুখানি কম, তাই এবারে দক্ষিণ ভারতের দিকে মনোনিবেশ করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

এমনিতেই কেরলে বিজেপির প্রভাব প্রায় না থাকার মতই। কেরলের সবথেকে বড় দুটি দল হল সিপিআইএম এবং কংগ্রেস। সেখানেই এবারে নিজেদের শক্তি প্রমাণ করতে চাইছে তৃণমূল। ইতিমধ্যেই কেরল বেশ কয়েকজন সদস্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসে দেখা করে গেছেন বিধানসভা নির্বাচনের পরে। বাংলায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই এবারে বাইরের রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের মনোনিবেশ করেছেন মমতা। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার এরনাকুলামে দলের সাংগঠনিক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ৫১ জনের একটি কমিটি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বামফ্রন্ট শাসিত রাজ্যে মমতা সরকারের জনমুখি কাজের প্রচার করতে চলেছে এই কমিটি। এছাড়াও বাংলায় সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লড়াইয়ের কথা অত্যন্ত গর্বের সাথে প্রচার করবে তৃণমূল কমিটি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস কেরালায় এই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১৪ লোকসভা ভোটে কেরলে পাঁচটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু সেই সময় জয়লাভ করতে পারেনি। তাই এবারে সেখানে কমিটি তৈরি করে ব্লক স্তরের সংগঠন তৈরি করে তৃণমূল কংগ্রেস এগোতে চাইছে কেরলে।

Advertisement

ইতিমধ্যেই, তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে বেশ কয়েকজন তৃণমূলের সঙ্গে যোগদান করলেন এই সভা থেকে। আগামী লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে এগোতেই চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কারণেই রাজ্যের বাইরেও বেশ কিছু জায়গায় নিজেদের সংগঠন তৈরি করার দিকে মনোনিবেশ করেছে তৃণমূল। কেরলের সর্বমোট ১৪ জেলায় সংগঠন তৈরী করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কারণেই কেরল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে রচিত হয়েছে নতুন স্লোগান, ” কল দিদি, সেভ ইন্ডিয়া, দিল্লি চলো। ” তার সাথে সাথেই কেরল তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি মনোজ শঙ্করেন্নালুর প্রত্যেকটি হোডিং এর নিচে নিজের ফোন নম্বর এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়েছেন। মোবাইল নম্বর ব্যবহার নিয়ে কেরল তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি বললেন, মোবাইলের যুগ, তাই প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

Recent Posts