তাড়কা রাক্ষসীর পর এবারে মমতাকে ‘মাফিয়া’ বলে আক্রমণ, কঙ্গনার নতুন পোস্ট বিতর্কের ঝড়

শাবানা আজমি ও জাভেদ আখতারের সঙ্গে মমতার বৈঠককে মাফিয়াদের বৈঠক হিসেবে দেগে দিলেন কঙ্গনা

Advertisement

Advertisement

আবারো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াতে কটাক্ষ করলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। দিল্লিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেছিলেন গীতিকার জাভেদ আখতার এবং অভিনেত্রী শাবানা আজমির সঙ্গে। সেই বৈঠকের একটি ছবি তুলে ধরে এবারে সেই বৈঠকটি সরাসরি মাফিয়াদের বৈঠক হিসেবে দেগে দিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তিনি তার ফেসবুক পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি ভন্ড হিসেবেও উল্লেখ করেন। কঙ্গনার এই মন্তব্যের পর সভাপতি চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নেট দুনিয়ায়।

Advertisement

তবে কঙ্গনা রানাওয়াত এই প্রথমবারের জন্য মন্তব্য করছেন এরকমটা নয়। এর আগেও বঙ্গ নির্বাচন এবং তার পরবর্তী সময়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। বাংলাদেশী এবং রোহিঙ্গারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব থেকে বড় শক্তি বলে উল্লেখ করেছিলেন কঙ্গনা রানাউত। তিনি বলেছিলেন, ” যার ট্রেন দেখছি তাতে বাংলার হিন্দুরা মেজরিটি তে নেই এবং তথ্য অনুযায়ী গোটা ভারতবর্ষের তুলনায় বাংলার মুসলিমরা সবচেয়ে গরিব আর বঞ্চিত। ভালো, আরেকটা কাশ্মীর তৈরি হচ্ছে। ” এরকম মন্তব্য করার কারণেই আগেও সমালোচিত হয়েছিলেন বলিউডের কন্ট্রোভার্সি কুইন’ কঙ্গনা রানাওয়াত।তার টুইটার অ্যাকাউন্ট পর্যন্ত সাসপেন্ড হয়ে যায় এই সমস্ত মন্তব্যের কারণে। উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

Advertisement

কিন্তু টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবার পরেও এখনো তার মন্তব্য কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি। তিনি এবারে কাজে লাগাতে শুরু করেছেন ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম কে। ফেসবুক পোস্টে আবারো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করলেন কঙ্গনা রানাউত। আর এই মন্তব্যের পরে আবারও তার পোস্ট নিয়ে জল্পনা এবং সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে নেট মাধ্যমে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, কিংবদন্তি গীতিকার জাভেদ আখতার এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবানা আজমির সঙ্গে দেখা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী লোকসভা নির্বাচনে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে চলেছে? এই প্রশ্নের উত্তরে জাভেদ আকতার বলেন, “কে নেতৃত্ব দেবেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ কথা নয় কিন্তু দেশে পরিবর্তন আসাটা আসল ব্যাপার। আমি মনে করি আগামী লোকসভা নির্বাচনে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বদলানোর জন্য পরিবর্তন নিয়ে আসা দরকার। তাহলেই দেশের গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে।”