“মুখ্যমন্ত্রীর লাল শালু দেখে বিজেপি খ্যাপা ষাঁড় হয়ে গেছে”, একই সুরে কল্যাণের কটাক্ষ বিজেপি ও রাজ্যপালকে

Advertisement

Advertisement

আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি পুরো উদ্যোমে ভোট প্রচারে লড়াইয়ে নেমে পড়েছে। এরই মাঝে তৃণমূল বিজেপির দ্বন্দ্বের উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। মাঝে মাঝে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও অন্যান্য বিজেপি নেতাকর্মী তৃণমূলকে আক্রমণ করে বিভিন্ন মন্তব্য করছেন। এরইমধ্যে আজ খানাকুলের এক জনসভায় গিয়ে বিজেপির বিদ্রুপের পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

খানাকুলের জনসভায় গিয়ে আজ তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একই সুরে বাংলার গেরুয়া শিবির ও রাজ্যপালকে আঘাত হেনে মন্তব্য করেছেন। তিনি বিজেপি শিবিরকে বিদ্রুপ করে বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেই গত তিন দিনে দুখানা লাল শালু টাঙ্গিয়ে দিয়েছে, সেই লাল শালু দেখে বিজেপি দল খ্যাপা ষাঁড়ের মত কাজ করছে। বাংলার বিজেপি খ্যাপা ষাঁড় হয়ে দৌড়াচ্ছে।” পরে কল্যান বাবু লাল শালু কি তা সবিস্তারে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

তিনি বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম লাল শালু হল “দুয়ারে দুয়ারে সরকার” প্রকল্প। আর দ্বিতীয় লাল শালু হল সব মানুষের জন্য “স্বাস্থ্যবীমা কার্ড” এর ঘোষণা। এই স্বাস্থ্য বীমা কার্ড এর মাধ্যমে রাজ্যের প্রত্যেকটি লোক পাঁচ লক্ষ টাকা অব্দি বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারবে। মমতার এহেন জনকল্যাণমূলক কাজ বিজেপি আর সহ্য করতে পারছিনা বলে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপ। তিনি বলেছেন, “বিজেপি শিবির বুঝে গেছে আগামী বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে এরকম চলতে থাকলে বিজেপি জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই মমতার কাজ দেখে বাংলা বিজেপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে।”

Advertisement

অন্যদিকে খানাকুলের সভাতেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর কে আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন, “গুজরাট থেকে আমাদের বাংলায় একটা রাজ্যপাল এসেছে। নাম তার জগদীপ ধনকর। এদিকে তিনি বাংলার ইতিহাস জানে না। আর শুধু সারাদিন ৩৬৫ ধারা জারি করার বুলি আওড়ায়।” এছাড়াও তিনি রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “এটা গুজরাট বা রাজস্থান নয়। এটা হল পশ্চিমবঙ্গ। এখানে লড়াই কি করে করতে হয় সেটা তৃণমূল খুব ভালোভাবেই জানে। আর বেশিদিন আপনার গাড়ির চাকা কলকাতায় ঘুরবে না।”