দাবার ছকে লেখা রাজ্যের সমস্ত প্রকল্পের খতিয়ান, চেস বোর্ড প্রচারের মাধ্যমে ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত শ্রীরামপুরের কল্যাণ

Advertisement

Advertisement

কালীপুজো এবং দীপাবলীর প্রাকমুহুর্তে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এলাকা শ্রীরামপুরে শুরু করলেন এক অভিনব প্রচার কার্য। এই প্রচারের জন্য তিনি ব্যবহার করেছেন দাবার ছক। তবে কোনো সাধারণ দাবার ছক নয়, এখানে ৬৪ ঘরে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সাফল্যের তুলনামূলক আলোচনা করা হয়েছে। আর এই দাবার ছক এর মাধ্যমেই এ বছরের নির্বাচনে বিরোধী দলকে কিস্তিমাত দিতে প্রস্তুত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

গতকাল রাতে তার কেন্দ্রে এই অভিনব দাবার বোর্ড বিলি করেন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সংসদ। এই দাবার বোর্ডের উপরে ছাপানো রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ছবি। তার সঙ্গে লেখা রয়েছে কালীপুজো এবং দীপাবলীর শুভেচ্ছা। এছাড়াও এই দাবার বোর্ডের প্রত্যেকটি ঘরে লেখা রয়েছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের খতিয়ান। আবার রয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় প্রকল্পের তুলনামূলক আলোচনা। এই আলোচনার উপরই নির্ভর করে মানুষের মনে আবারও জায়গা করে নিতে চাইছেন কল্যানরা।

Advertisement

তবে এই অভিনব প্রচার কে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল সাংসদের দাবি, তারা এই দাবার বোর্ড নিয়েই শুরু করতে চলেছেন ২০২১ বিধানসভার প্রচার পর্ব। তাই এই দাবার বোর্ডে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফল্যের তুলনামূলক খতিয়ান। তারা জানিয়েছেন, এই দাবার বোর্ড দেখে পশ্চিমবঙ্গের সাধারন মানুষ বুঝতে পারবেন কোনদিকে কে কতটা সফল, কে কাকে কতটা চেক দিতে পারছে।

Advertisement

এই দাবার বোর্ড প্রচার এর পাল্টা হুগলি বিজেপি সাংসদ বলেছেন,” দাবার বোর্ডে লেখা অনেক প্রকল্পের কোনো অস্তিত্বই নেই। রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম পাল্টে নিজের করে নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। ” তবে এই অভিযোগ নিয়ে কোন মাথা ঘামাতে নারাজ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বক্তব্য, মানুষ আমাদের খতিয়ান দেখলেই হবে। এখন এটাই দেখার, আগামী ২০২১ বিধানসভার আগে কে কাকে কিস্তিমাত করেন।