লম্বা দাড়ির সাথে হলুদ জামা পড়লেই রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায়না, নাম না নিয়ে মোদীকে কটাক্ষ কাকলির

Advertisement

Advertisement

বিশ্বভারতীতে নিমন্ত্রণের বিষয়ে থেকে আইপিএস ডেপুটেশন, অমর্ত্য সেনের বাড়ির সীমানা বিতর্ক ভোটের আগে আবার কেন্দ্র রাজ্য দ্বন্দ্ব তীব্র। তার মধ্যেই শুক্রবার কেন্দ্রীয় কৃষক কল্যাণ প্রকল্প বাংলায় চাল্য না করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাক্যবাণ ছুড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলার কৃষকদের তৃণমূল সরকার রাজনৈতিক কারণে বঞ্চিত করছেন বলেও অভিযোগ তার। যার বিরুদ্ধে সরব হয় রাজ্যের শাসক শিবির। পদ্ম শিবিরকে ‘দুষ্কৃতী’র দল বলে এইবার নাম না করেই প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন,”মিথ্যেবাদী। লম্বা দড়ি থাকলেই আর হলুদ জানা পরলেই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ হওয়া যায়না।”

Advertisement

শনিবার তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক মুখোমুখি হয়ে দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দেন তৃণমূল সাংসদ। একই সাথে বাংলার উন্নয়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে বলে দাবী করেন তিনি। বারাসাতের তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য,”যেভাবে বাংলার মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন, সেই সব পেয়ে মানুষ অত্যন্ত আনন্দিত এবং বাংলার সরকার প্রশংসনীয় কাজ করছে বলে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।”

Advertisement

যদিও বিরোধীদের অভিযোগ উন্নয়নের যে পরিসংখ্যান রাজ্যের তরফে দেওয়া যাচ্ছে তা আসলে ‘ভুয়ো’। এই প্রসঙ্গেই গেরুয়া শিবিরের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হন কাকলিদেবী। তার বক্তব্য,”মিথ্যাবাদী বিজেপি নেতারা এই দেশ টাকে হার্মাদ বাহিনীর আস্তানা হিসাবে তৈরি করেছেন। উত্তর প্রদেশের আইন শৃঙ্খলা দেখলেই সেই সব বোঝা যায়।”

Advertisement

বাংলায় আইন শৃঙ্খলা নেই বলে গেরুয়া শিবিরের যে দাবী তা নস্যাৎ করে এই দিন শাসক শিবিরের সাংসদ বলেন,”সংসদীয় কমিটির কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে পশ্চিমবাংলায় মহিলাদের উপর অপরাধের হার সবথেকে কম। দোষীর দ্রুত শান্তি পায়।’ পরিসংখ্যান দিয়ে রাজ্যে মহিলা থানা, ফার্স্ট ট্যাক কোর্টের কথাও বলেন তৃণমূল সাংসদ।