“কোয়ালিটি দেখে দলে লোক নেওয়া হবে”, শুভেন্দু ইস্যুতে বিদ্রুপ করলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়

Advertisement

Advertisement

নন্দীগ্রাম দিবসে শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক সভার পর একপ্রকার স্পষ্ট যে তৃণমূলে আর থাকবে না শুভেন্দু। তবে তিনি কি বিজেপিতে যোগ দেবেন? বা দাদার অনুগামীদের নিয়ে আলাদা রাজনৈতিক দল তৈরি করবেন? এই সমস্ত প্রশ্ন নিয়ে বাংলার রাজনীতি সরগরম। তবে শুভেন্দুর জন্য যে বিজেপির দরজা খোলা তা অনেকবারই গেরুয়া শিবিরের বিভিন্ন নেতাকর্মী ইঙ্গিতে বলে দিয়েছেন।

Advertisement

 

Advertisement

এদিন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় শুভেন্দু ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে বিদ্রুপ করে বলেছেন যে তৃণমূলের এখনো অনেক নেতাই বিজেপিতে আসতে চাইছে। কিন্তু আমরা সবাইকে তো আর নিয়ে নিতে পারিনা। বিজেপি নেতৃত্বরা কোয়ালিটি দেখে দলে লোক নেবে। শুভেন্দুর নাম না উল্লেখ করে বলেছেন, “উনি তো এখনো আমাদের কিছু বলেননি। যদি উনি কিছু বলেন তাহলে আমরা ভেবে দেখব”।

Advertisement

 

এছাড়াও কৈলাস বিজয়বর্গীয় তৃণমূল সরকারের অরাজকতার কথা সামনে এনে বলেছেন শাসকদলের কর্মীরাও দলের অরাজকতা থেকে রক্ষা পায় না। তৃণমূল কর্মীরা তৃণমূল কর্মীদের খুন করে দেয়। মমতা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও তৃণমূল কর্মী খুনের প্রায় ৫০টি ঘটনা ঘটেছে। যেই দলের নিজের লোকরাই খুন হয়ে যায় তারা কি করে রাজ্য চালাবে।

 

অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ শুরুতে শুভেন্দু ইস্যুতে কথা বলেছে। তিনি অনেকটা সাবধানী ভঙ্গিতে বলেছেন, “এখনো আমরা জানি না। যদি তিনি আসেন তাহলে ভেবে দেখা হবে”। এছাড়াও কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী তৃণমূলের দলের মধ্যে অন্তবিরোধ নিয়ে মমতাকে এক হাত নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তৃণমূল দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব পুরো ক্যান্সারের মত। একদিন শুভেন্দু অধিকারীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলের সম্পদ হিসেবে মুর্শিদাবাদে পাঠিয়েছিল কংগ্রেস সরকার ভাঙতে। আজকে সেই শুভেন্দু মমতার ঘর ভাঙছে। অন্যের ঘর জ্বালাতে গেলে নিজের ঘরও জ্বলে বলে বিদ্রুপ করেছেন তিনি।

Recent Posts