পেট্রোল পাম্পের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ৪.২০ লক্ষ টাকা জালিয়াতি, ফাঁসলেন জয়প্রকাশ মজুমদার

জয়প্রকাশ মজুমদার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি পেট্রোল পাম্প লাইসেন্স পাইয়ে দেবার নাম করে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৪.২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বেআইনিভাবে

Advertisement

Advertisement

আবারো প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা তথা রাজ্য বিজেপি মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার। এর আগেও জয়প্রকাশ মজুমদার এর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে মানুষের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন অরূপ রতন রায় নামে বাগদার একজন বাসিন্দা। তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন, জয়প্রকাশ মজুমদার তাকে চাকরি দেওয়ার নাম করে তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এই মর্মে ২০১৭ সালে জানুয়ারি মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার।

Advertisement

আবারো তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং অভিযোগকারী সেই অরূপ বাবু। তবে এবারে তাঁর অভিযোগ একটু আলাদা। তিনি এবার পুলিসের কাছে এসে অভিযোগ জানিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার তাকে অভিযোগ তুলে নিলে টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তার প্রতিশ্রুতি রাখেনি। প্রায় তিন বছর হতে চলল এখনো তিনি তার টাকা ফেরত পাননি বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন অরূপ রতন রায়। এই মর্মে বিধান নগর থানায় তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন বিজেপি মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার এর বিরুদ্ধে।

Advertisement

তবে শুধুমাত্র টাকা ফিরিয়ে দেবার ব্যাপারটি নিয়ে তিনি অভিযোগ করেছেন তা কিন্তু নয়, বরং তারা আরও অভিযোগ জয়প্রকাশ মজুমদার তাকে পেট্রোল পাম্প লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তার কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়েছেন। অরুপ বাবুর অভিযোগ তার কাছ থেকে আরো জয়প্রকাশ মজুমদার ৪.২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ইতিমধ্যেই। পাল্টা, তাকে পেট্রোলপাম্পে লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তো দূরে থাক বরং টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন অরূপ বাবু।

Advertisement

এই মর্মে ইতিমধ্যে বিধান নগর থানায় জয়প্রকাশ মজুমদার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এই মামলা করার পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে বলে জানাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। জয়প্রকাশ মজুমদার এই বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুললেও বঙ্গ বিজেপির আর এক মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য দাবি করেন, “জয়প্রকাশ মজুমদার এই মামলার একটি এফআইআর দায়ের করেছেন। ওই অভিযোগকারী এর আগেও জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন যা আদালতে ইতিমধ্যে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আসলে পুরোটাই করা হচ্ছে রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে। সবটাই হচ্ছে বিজেপির নেতা কর্মীদের অপমান করা এবং তাদের ফাঁসানোর একটি রাজনৈতিক অভিসন্ধি।” যদিও এখনও পর্যন্ত পুলিশের তরফে জানানো হচ্ছে এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে তদন্ত করা হবে।

Recent Posts