নিউজপলিটিক্সরাজ্য

‘যশ’ মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাজ্যপাল, গেলেন নবান্ন কন্ট্রোল রুমে

আজ বিকেলে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরেও গিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর

Advertisement
Advertisement

করোনা সংক্রমনের মাঝেই রাজ্যবাসীকে ভ্রুকুটি দেখাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় যশ। দীঘা থেকে মাত্র কিছু কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই সুপার সাইক্লোন। ঝড়টি আগামীকাল দুপুরের দিকে বালেশ্বরে ল্যান্ডফল করবে। কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব রাজ্যের বেশকিছু জেলায় দেখা যেতে পারে। ইতিমধ্যেই আগামীকাল দুই মেদিনীপুর জেলায় লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি আগামীকাল হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, নদীয়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই নবান্ন ও উপান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

Advertisement
Advertisement

রাজ্যের ঘূর্ণিঝড়ের বিরুদ্ধে লড়াই দেখে সমস্ত সংঘাত ভুলে আজ রাজ্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি কিভাবে কাজ হচ্ছে বা কতটা কাজ বাকি তা দেখার জন্য পৌঁছে গেলেন নবান্নে। আজ মুখ্যমন্ত্রীর সাথে তিনি বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও আজ বিকেল ৪ টের সময় আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরে যান রাজ্যপাল। সেখানেই তিনি রাজ্যের যশ মোকাবিলার ভূয়শী প্রশংসা করে বলেছেন, “আমফানের মতো পরিস্থিতি তৈরি হোক কেউ আমরা চাই না। তাই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে যেভাবে কাজ করছে তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। সব কাজেই এমনভাবে সমন্বয় রাখা উচিত।”

Advertisement

আলিপুর আওয়া দপ্তর থেকে বেরোনোর পর নবান্নে যাওয়ার কথা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ট্যুইট করে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নবান্ন কন্ট্রোলরুমে কেমন কাজ হচ্ছে তা দেখতে যাবেন তিনি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে বৈঠক করতে পারেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্য প্রশাসন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কোনরকম খামতি রাখতে চায় না। তারা ইতিমধ্যেই প্রায় ৯ লাখ মানুষকে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে গেছে। রাজ্যের কোন মানুষের জীবন যাতে না বিপন্ন হয় তার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।

Advertisement
Advertisement

https://twitter.com/jdhankhar1/status/1397182983552094213?s=20

 

আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার এই ঝড় উত্তর ও উত্তর পশ্চিম অভিমুখে এগোবে। কাল ভোরেই এই ঝড় বাংলা উড়িষ্যা উপকূলের কাছে পৌঁছে যাবে এবং পারাদ্বীপ ও সাগরের মাঝ বরাবর বয়ে যাবে। এই ঝড়ের ল্যান্ডফল হবে বালেশ্বরে। তবে ঝড়ের প্রভাব দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। আজ থেকেই বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতাসহ তার নিকটবর্তী জেলাগুলিতে। আগামীকাল ভারী বৃষ্টিপাত হবে দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, নদীয়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদা জেলায়।

Advertisement

Related Articles

Back to top button