পুজোর আগে খুলছে স্কুল? যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

Advertisement

Advertisement

কলকাতা: করোনা পরিস্থিতি, দীর্ঘ লকডাউন এসবের সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রেটি সকলেই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে স্কুলপড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও। স্বাভাবিক পঠন-পাঠনের জীবন কার্যত থমকে গিয়েছে। যদিও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ক্লাস কিংবা পরীক্ষা কবে থেকে নেওয়া হবে, তা ইতিমধ্যে ঘোষণা করে দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। তবুও স্কুল খোলা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে পুজোর আগে স্কুল কি খুলবে? পুজোর আগেই স্কুলমুখী কি হতে পারবে পড়ুয়ারা? এ সকল প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে স্কুলপড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের মনে। কিন্তু আপাতত পুজোর আগে স্কুল খোলার তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

তিনি এ বিষয়ে বলেছেন, ‘এত বড় মহামারীর মধ্যে শিশুদের টেনে এনে বিপদে ফেলার কোনও মানে হয় না। স্কুলগুলিতে আগে কিরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করানো সম্ভব, তা যাচাই করতে হবে। আমরা এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই একটা রূপরেখা তৈরি করেছি। যে দিনই স্কুল খুলবে, সেদিনই এই পরিকল্পনা কার্যকর করা হবে। তবে পুজোর আগে না পুজোর পরে স্কুল খুলবে তার সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। যদিও অক্টোবর মাস পুজোর মাস। এ তো আর পরীক্ষা নয় যে পিছিয়ে দেওয়া যাবে। রীতিমতো ক্লাস নিতে হবে স্কুল খুললেই। তাই হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে পড়ুয়াদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলার কোন মানেই হয় না। আশা করব ভাবনা-চিন্তা করেই সরকার এবং শিক্ষা দফতর স্কুল খোলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। পুজোর আগে স্কুল খুললে সেটা বেশি দিনের জন্য স্থায়ী হবে না। কারণ, পূজোর ছুটি পড়বেই। তাই পুজোর আগে স্কুল খোলার তেমন কোনও সম্ভাবনা দেখছি না। যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের।’

Advertisement

শিক্ষামন্ত্রীর এমন বক্তব্যে কিছুটা হলেও চিন্তামুক্ত হয়েছেন স্কুলপড়ুয়াদের অভিভাবকরা। পুজোর আগে বাচ্চাদের ঝুঁকি নিয়ে বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে না, এটা ভেবেই খুশি সকলে। তবে শিক্ষাবর্ষের একটা ক্ষতি হচ্ছে এমনটাও আবার অনেকেই দাবি করেছেন। যদিও বিভিন্ন স্কুলে অনলাইন ক্লাস এবং প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে অনলাইন কোচিং ক্লাসের সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে। তবুও স্কুলে গিয়ে যে নিয়মিত ক্লাস তা আপাতত পুজোর আগে হচ্ছে না, এমনটা বলাই যায়।

Advertisement

Recent Posts