Categories: দেশনিউজ

বছরের প্রথম দিনেই কি মিলবে ভ্যাকসিনে অনুমোদন? কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মিলতে পারে উত্তর

Advertisement

Advertisement

নয়াদিল্লি: ২০২০ মহামারির ইতিহাস ভুলে এগোতে চাইছে মানব সভ্যতা। তাই ২০২১ সালের প্রথম দিনটা দেশে নতুন আশার সূর্য উঠুক এমনি চাইছে কেন্দ্র। আর এই আবহে নয়া বছরের শুরুর দিনই করোনা ভাইরাসের টিকার এদেশে অনুমোদনের রাস্তা আরও প্রশস্ত হল। এই নিয়ে ইতিমধ্যে বৈঠকে বসেছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)-এর বিশেষজ্ঞ কমিটি। এই বৈঠকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডকে জরুরি অনুমোদনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।

Advertisement

স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও)-এর বিশেষজ্ঞ কমিটি ভারতে করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন নিয়ে দুটি বৈঠক করে ফেলেছে। বুধবারই তিনটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা জরুরি অবস্থার জন্য কেন্দ্রের অনুমতি জন্য আবেদন করেছে। ভারতে জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিনের অনুমোদনের কথা ভাবছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। জানা যাচ্ছে  কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে ভারতে প্রয়োগের জন্য ছাড়পত্র দিতে পারে  ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার এসইসি।

Advertisement

ইতিমধ্যে দেশ  জুড়ে প্রতিটি রাজ্যে শুরু হতে চলেছে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ড্রাই রান। আগামী ২ জানুয়ারি শনিবার থেকে এই ড্রাই রান চালু হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এমনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক৷ জানা গিয়েছে, দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তেও চলবে ড্রাই রান। এর আগে পঞ্জাব, অসম, গুজরাত এবং অন্ধ্রপ্রদেশেও চলেছিল ড্রাই রান। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে তা হবে গোটা দেশেই। সেই সময়ের সমস্ত তথ্য রেকর্ড করে পর্যবেক্ষণ করা হবে।

Advertisement

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৩০ কোটি ভারতবাসীকে প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। জানুয়ারিতেই মিলবে করোনা ভ্যাকসিন, এমনই আশার কথা বছরের শেষদিনে শুনিয়েছেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখন দেখে নেওয়া যাক দেশে কোন ভ্যাকসিন কী অবস্থায় রয়েছে।

অক্সফোর্ড এবং  অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিশিল্ড প্রস্তুত। ভারত বায়োটেক এবং আইসিএমআর-এর কোভ্যাক্সিনও প্রস্তুত। যে কোনও সময় দুটি ভ্যাকসিনেকই জরুরি অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। আমেরিকান সংস্থা ফাইজারও  ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। ফাইজারের ভ্যাকসিনটি ভারতেও পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞ কমিটি ফাইজারের কাছ থেকে আরও কিছু তথ্য চেয়েছে। ফাইজার ভ্যাকসিনটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাও অনুমোদন করা হবে। এছাড়া চতুর্থ ভ্যাকসিনের কাজও  দ্রুত চলছে। এই ভ্যাকসিনটি জাইদাস ক্যাডিলা তৈরি করছে। এর তৃতীয় ট্রায়াল শুরু হচ্ছে। জাইদাসের ভ্যাকসিনও  অনুমোদন পেতে চলেছে।

সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে ৫০  মিলিয়ন ডোজ প্রস্তুত রয়েছে। যা মোট ২২ কোটি মানুষকে দেওয়া যেতে পারে। ভালো কথা হ’ল ভারত এই ভ্যাকসিনের কয়েক মিলিয়ন ডোজ ব্রিটেন থেকে পাবে। খুব নিরাপদ পরিবেশে এখানে ভ্যাকসিন তৈরি করা হচ্ছে।  বৃহদাকারে টিকাকরণের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সেরে ফেলা হয়েছে।  ইতিমধ্যে ৭.৫ কোটি টিকার ডোজ মজুত করেছে সেরাম। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সেই সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। বিশ্বের কারও কাছে এত টিকার ডোজ নেই বলে দাবি করেছে সেরাম।