পাক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর বক্তব্যকে হাতিয়ার করে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারে ভারত

Advertisement

Advertisement

লাহোর: গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনা এখনও সকলের মনে আছে। এই ঘটনায় প্রাণ দিতে হয়েছিল চল্লিশের বেশী সিআরপিএফ জওয়ানদের। এই ঘটনায় পাকিস্তানকেই দায়ী করা হয়েছিল। এমনকি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পক্ষ থেকে পাক মাটিতে ঢুকে দ্বিতীয় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করা হয়। আর এবার সরাসরি পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করে নিল পাকিস্তান।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সংসদে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান মুসলিম লিগের নেতা আয়াজ সাদিক বলেছিলেন, ভারত পাকিস্তানকে আক্রমণ করবে এই ভয়ে ভারতের বায়ুসেনার পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে পাকড়াও করেও তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান। এই কথাকে অস্বীকার করে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ফাওযাদ খান চৌধুরী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘হামনে ভারত কো ঘুসকে মারা।’ এর অর্থ হল, ‘আমরা ভারতের ঘরে ঢুকে মেরেছি।’ এর পাশাপাশি তিনি এমনটাও বলেন, ‘ইমরান খানের নেতৃত্বে পুলওয়ামার হামলার ঘটনা আমাদের সাফল্য। এই ঘটনার সাফল্যের অংশীদার আমরা সবাই।’ পাকমন্ত্রীর এ হেন বক্তব্য তোলপাড় আন্তর্জাতিক স্তরে রাজনৈতিক মহল। আর এবার ফাওয়াদ চৌধুরীর এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা FATF-এ আবেদন করতে চলেছে ভারত।

Advertisement

পাক মন্ত্রীর বক্তব্যকে হাতিয়ার করে যে ভারতের যে FATF-তে আবেদন করা উচিত, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ভি কে সিং-এর কথাতেও তা স্পষ্ট৷ তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত পাকিস্তানের মন্ত্রীর এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে সরকার গোটা বিশ্বকে বোঝাবে যে, পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করা উচিত। যাতে কেউ তাদের আর্থিক অনুদান না দেয়৷’

Advertisement

এই মুহূর্তে FATF-এর গ্রে তালিকাভুক্ত হয়ে রয়েছে পাকিস্তান৷ কয়েকদিন আগেই কালো তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছে তারা৷ সন্ত্রাসবাদীদের আর্থিক সাহায্য বন্ধ করতে পাকিস্তান কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা প্রমাণ করার জন্য ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সময় দিয়েছে FATF৷ আর সেই সময় আসার আগেই পাক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর এই বক্তব্য কার্যত বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে ইমরান খানের দেশকে। আর তাই পাকমন্ত্রীর বক্তব্যকে হাতিয়ার করে ভারত শেষ পর্যন্ত FATF-এ নালিশ জানালে আরও বেকায়দায় পড়বে পাকিস্তান, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।