নিউজরাজ্য

আরও একবার বৈঠকে বসতে চলেছে রেল ও রাজ্য, ট্রেন বাড়ানো নিয়ে বিশেষ আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর

Advertisement
Advertisement

প্রায় ৭ মাস পরে বুধবার থেকে চালু করা হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলার কথা ছিল ট্রেন। কিন্তু বেলা বাড়তেই শীতের আমেজের সাথে মিলিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্যবিধিও। দূরত্ব বিধি পালনের কোনো বালাই নেই ট্রেন এবং স্টেশনে। এমন অবস্থায় দূরত্ববিধি মানতে গেলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে, এমনটাই দাবি করেছেন যাত্রীরা। একমাত্র সংখ্যা বাড়লেই মানা যাবে স্বাস্থ্যবিধি বলে দাবি করেছেন তারা।

Advertisement
Advertisement

এই দাবি মেনে এবং স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে রেল কর্তৃপক্ষকে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার বক্তব্য,” ট্রেন বাড়লে কমে যাবে ভিড় ও। ফলে কম ছড়াবে করোনা।” এই বিষয়ে কথা বলতে আজ রেল কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠক করতে চলেছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

বুধবার প্রথমদিন ট্রেন চালানো হয়েছে প্রায় ৬৯৬ টি। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন যে মোট ট্রেনের প্রায় ৮৫% চালানো হয়েছে অফিস টাইমে। চেষ্টা করা হচ্ছে ভিড় সামলানোর। রেল চালু হওয়ায় অনেকটাই নিশ্চিন্ত হয়েছেন বঙ্গবাসী। অনেকেই ট্রেনে চেপে জীবিকা সূত্রে আসেন কলকাতা। ট্রেন না থাকায় ব্যহত হচ্ছিল তাদের জীবিকা। কিন্তু এই বার অনেকটাই শান্তি পেয়েছেন তারা।

Advertisement
Advertisement

রেল চালানোর সাথে নজর দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধির দিকেও। চেষ্টা করা হচ্ছে দূরত্ববিধি মেনে পরিষেবা সঠিক রাখার। প্রতি স্টেশনে প্রবেশ এবং প্রস্থানের জন্য রয়েছে ভিন্ন পথ। মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রবেশের শুরুতেই করা হচ্ছে থার্মাল স্ক্যানিং। টিকিট কাউন্টারে এবং প্লাটফর্মে ও দূরত্ববিধির দিকে কড়া ভাবে নজর দিচ্ছে পুলিশ। কিন্তু বেলা বাড়তে না বাড়তেই উধাও হয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য সচেতনতা। অফিস টাইমে আগের মতো দৃশ্যই চোখে পড়ছে বলা চলে। ঠেলাঠেলি করা ট্রেনে উঠছেন লোকজন। অফিস টাইমে ট্রেনে হচ্ছে গাদাগাদি ভিড়। এমনই এক যাত্রীর বক্তব্য,”আমি বারাসাত থেকে উঠেছিলাম ট্রেনে। কোনো আসন ই ফাঁকা ছিলনা। মুখে মাস্ক থাকলেও মানা হচ্ছিলনা দূরত্ববিধি। রেল যদি আরও কিছু ট্রেনের সংখ্যা বাড়ায় তবে যাত্রীদের পক্ষে দূরত্ববিধি মানা সম্ভব হবে ।”

অন্যদিকে হাইকোর্ট হতে রাজ্যের কাছে কালীপুজো ও দীপাবলির সময় ট্রেন বন্ধ রাখা সম্ভব নাকি সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। কোর্ট হতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কলকাতায় দুর্গাপুজোর সময় কম ভিড়ের অন্যতম কারণ ছিল ট্রেন বন্ধ থাকা। হাইকোর্ট হতে ১৪ এবং ১৫ তারিখ রেল বন্ধ করা হবে নাকি কম সংখ্যক চালানো হবে সে বিষয়ে রাজ্যকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চলা হয়েছে।

অপরদিকে শহরে বেড়ে গিয়েছে মানুষের সংখ্যা। ট্রেন ব্যবস্থা চালু হওয়ায় শহরে আসতে শুরু করেছেন অনেকে। সেই ভিড় সামলাতে আরও ২৫% বেশি লোক পরিবহণের ব্যবস্থা করেছে কলকাতা মেট্রো।

Advertisement

Related Articles

Back to top button