অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হচ্ছে পেট্রোল এবং ডিজেল সরবরাহ পরিষেবা, প্রবল সমস্যায় সাধারণ মানুষ

ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় ইন্ডিয়ান অয়েল এর পেট্রোল পাম্প ড্রাই হতে শুরু করেছে

Advertisement

Advertisement

তেল ট্যাংকার মালিকদের পূর্ণ ধর্মঘটের ফলে গত বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলকাতা হাওড়া এবং অন্যান্য জেলার পেট্রোলিয়াম পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে ব্যাহত হয়ে পড়েছে। ইন্ডিয়ান অয়েল এর পেট্রোল পাম্পগুলিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পরিষেবা। এখনো পর্যন্ত জানানো হয়নি এই পরিষেবা কবে চালু হবে আবার। তবে এই পরিষেবা চালু না হওয়ার কারণে যে রীতিমতো সমস্যার মধ্যে পড়েছেন গাড়ি চালকরা সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Advertisement

ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে, বুধবার ইন্ডিয়ান অয়েল এর পক্ষ থেকে যে টেন্ডার ডাকা হয় তাতে ট্রান্সপোর্ট রেট প্রায় অস্বাভাবিক হারে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এই কারণে তারা প্রতিবাদ করার জন্য ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে হাওড়ার মৌরিগ্রাম ইন্ডিয়ান কয়েনের তেলের ডিপো থেকে ট্যাংকার মালিকেরা তেল তোলা রীতিমতো ছেড়ে দিয়েছেন।এই কারণে হাওড়া কলকাতা, এবং সংলগ্ন অঞ্চলে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে পড়েছে ইন্ডিয়ান অয়েলের পেট্রোলিয়াম সরবরাহ। পেট্রোল এবং ডিজেল সরবরাহ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে পড়ার কারণে পেট্রোল পাম্প গুলিতে তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এর ফলে যারপরনাই অসুবিধায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

অন্যদিকে ওয়েস্টবেঙ্গল পেট্রোল ডিজেল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে কলকাতা এবং হাওড়ার সমস্ত পেট্রোল পাম্প আস্তে আস্তে ড্রাই হতে শুরু করবে। কলকাতায় পেট্রোল পাম্পের সংখ্যা অনুযায়ী ইন্ডিয়ান অয়েল অত্যন্ত বেশি পরিমাণে রয়েছে। এই কারণে হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম এবং ভারত পেট্রোলিয়ামের পেট্রল পাম্পগুলির উপরে ভিড়ের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যেতে পারে।ফলে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে আরো জটিল হয়ে উঠবেন। ইতিমধ্যেই ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে প্রায় ৬০ টি চুক্তিবদ্ধ তেলবাহী ট্যাঙ্কার কে ইতিমধ্যেই বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপরে ভাড়া কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই সমস্ত ট্যাঙ্কারের। ফলে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন তেল ট্যাংকারের মালিকেরা।

Advertisement

মালিকানা দাবি করেছেন যদি তাদের দাবি-দাওয়ার সময় মত সুরাহা না করতে পারে সরকার তাহলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে। ইতিমধ্যেই শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতা এবং জেলার সমস্ত পেট্রোল পাম্পের দুর্দশা ছবি। এবারে কলকাতাসহ গোটা রাজ্যে জ্বালানির তীব্র অভাব দেখা দিতে পারে। গণপরিবহন অত্যন্ত বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে চলেছে। ট্যাক্সি পুলকার থেকে শুরু করে বাইক স্কুটি এমনকি বাস সবকিছুর চাকাই বসে যেতে পারে বলে ধারণা করছে ওয়াকিবহাল মহল। তার মধ্যেই আবার সকাল থেকেই জেলায় জেলায় পেট্রোল পাম্পগুলিতে পেট্রোল পাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেই চলে। আস্তে আস্তে অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রেও এই সমস্যার ছড়িয়ে পড়বে এবং সারা রাজ্যে জ্বালানি তেল নিয়ে রীতিমতো সমস্যার মুখোমুখি হবেন সকলেই।