ট্যাংকার মালিকদের ধর্মঘট অব্যাহত, তেলশূন্য অবস্থায় ছয় জেলার আড়াইশো পেট্রোল পাম্প

সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কলকাতাতেও থামছে না

Advertisement

Advertisement

হাওড়া মৌরিগ্রাম ইন্ডিয়ান অয়েল এর একটি ডিপোতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট করতে চলেছে টাকার মালিক সংগঠন এবং এই কারণে ৬ জেলার ৫০০ ইন্ডিয়ান অয়েল পেট্রোল পাম্প এর মধ্যে ইতিমধ্যেই অর্ধেকের বেশি তেল শূন্য হয়ে পড়েছে। আপাতত জেলাতে থাকলেও ধীরে ধীরে কলকাতার পেট্রোলপাম্পে এই সমস্যার শুরু হচ্ছে এবং এই সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Advertisement

ধর্মঘটে অংশগ্রহণকারীরা দাবি করেছে ইন্ডিয়ান অয়েল তাদের টেন্ডারে পরিবহনের খরচ অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে এবং এই কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকতে বাধ্য হয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়ান অয়েল এর মৌরিগ্রামের ডিপো থেকে পেট্রোল ডিজেল নিয়ে কোনো ট্যাংকার বেরোয়নি। এছাড়াও অনেক অন্যান্য পেট্রোলপাম্পে সমস্যা দেখা দিয়েছে যার ফলে ইন্ডিয়ান অয়েল এর পরিবহন রীতিমতো চাপের মুখে পড়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাওড়ার মৌরিগ্রাম এর ইন্ডিয়ান অয়েল এর ডিপোতে ট্যাংকার মালিকেরা পেট্রোল এবং ডিজেলের গাড়িতে তেল তোলেননি। এর ফলে হাওড়া থেকে শুরু করে কলকাতা, দুই চব্বিশ পরগনা এবং নদীয়ার একাংশের পেট্রোল পাম্প ধীরে ধীরে তেলশূন্য হয়ে পড়ছে।ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রল ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি কলকাতা এবং হাওড়ার পাম্পগুলি একেবারে তেলশূন্য হয়ে পড়বে এবং করণা পরিস্থিতিতে এর থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি এর আগে দেখা যায়নি বলেও মনে করছেন অনেকে।

Advertisement

অন্যদিকে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যাঙ্কার অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় ৬০ এর কাছাকাছি তেলবাহী ট্যাঙ্কার ইতিমধ্যেই বসিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যতদিন না পর্যন্ত ভাড়া আবার ঠিকঠাক হবে ততদিন পর্যন্ত তারা নিজেদের দাবি নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলেও তারা জানিয়ে দিয়েছেন।তবে মালিকরা আশা রেখেছেন, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করে সমস্যার সমাধান করবে। কিন্তু যদি তাড়াতাড়ি এই সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি কলকাতা এবং হাওড়ার বেশ কিছু জায়গায় জ্বালানি নিয়ে বিশাল সমস্যা হতে পারে। এর ফলে গন পরিবহন ব্যবস্থা একেবারে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে বাইক স্কুটি থেকে শুরু করে ট্যাক্সি এমনকি প্রাইভেট গাড়ি সবকিছুই প্রায় বন্ধ হয়ে যাবে।