ভারতের অনবদ্য ব্যাটিং-বোলিং! ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতল ভারত

Advertisement

Advertisement

সিরিজ ফয়সালাকারী ম্যাচে জয়ের হাসি হাসলো ভারত। ৩৬ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে টি২০ সিরিজের ট্রফি তুলে নিল ভারত। টসে জিতে চূড়ান্ত ম্যাচে বোলিং এর সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান লক করে। ফয়সালাকারী ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত করে টিম ইন্ডিয়া। ইংল্যান্ডের সামনে এই লম্বা লক্ষ্য রেখে চূড়ান্ত ম্যাচ জেতার পথ বেশ কিছুটা প্রশস্ত করেছিল ভারত। বাকি কাজ সারেন ভারতীয় বোলাররা।

Advertisement

ব্যাটিং পারফরমেন্সে অভিযোগের কোন জায়গা রাখেনি ভারত। আজ ওপেনিং স্লটে রোহিত শর্মার সাথে ক্রিজে নামেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক আজ ৯৪ রানের পার্টনারশিপ তৈরি করে। গত ম্যাচগুলি আমরা দেখি হিটম্যান দলকে রান এনে দিতে পারেননি। তবে চূড়ান্ত ম্যাচে চওড়া হল তাঁর ব্যাট। ৩৪ বলে দলকে নজরকারা ৬৪ রান উপহার দেন তিনি। দলের ৯৪ রানের মাথায় স্টোকসের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে হয়ে প্যাভিলিওনে ফেরেন তিনি। ৪টি চার এবং ৫টি ছয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস প্রশংসার দাবী রাখে। এদিকে অধিনায়ক কোহলি ৫২ বলে দুর্দান্ত ৮০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৭টি চার ও ২টি ছয়ে সাজানো বিরাটের এই ইনিংস তাক লাগায় ভক্তদের।

Advertisement

সূর্যকুমার মাত্র ১৭ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি। আদিল রাশিদের বলে রয়কে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাঁকে। এদিকে গত চার ম্যাচে ব্যাট হাতে নিস্তেজ থাকার পর আজ জ্বলে ওঠেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১৭ বলে ৩৯ রান করে ভারতে ২২৪ রানে পৌঁছাতে সাহায্য করেন। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ইংল্যান্ডের বোলারদের একপ্রকার নাকানি চোবানি খাওয়ায় ভারতের ব্যাটসম্যানরা। ব্যাটসম্যানদের ক্রিজ থেকে টলাতে বেশ বেগ পেতে হয় তাদের। ৮ ওভারের শেষে ইংল্যান্ড তাদের প্রথম উইকেট পায়। ১৩.২ ওভারে ১৪৩ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট তোলেন আদিল রাশিদ।

Advertisement

ব্যাটিং এর সাথে সাথে বোলিং এও রীতিমতো ঝড় তোলে ভারত। ব্যাটিং এর শুরুর দিকে ০.২ ওভারে এক উইকেট খোয়ায় ইংল্যান্ড। তবে দুর্দান্ত রান রেট বজায় রেখে ২২৫ রানের লক্ষ্য চেস করতে শুরু করে মরগ্যান অ্যান্ড কোং। ভারতের হয়ে প্রথম উইকেটটি নেন ভুবনেশ্বর। রানের অপ্রতিরোধ্য গতি বজায় রেখে ১২ ওভারের মাথায় ১২৮ রানের মাইলস্টোন স্পর্শ করে ইংল্যান্ড। এর পরই গেম ঘুরিয়ে দেয় ভারতীয় বোলাররা। ১৩০ রানের মাথায় বাটলার ভুবনেশ্বরের বলে ক্যাচ আউট হন, ক্যাচ নেন পান্ডিয়া। আবার ১৪০ রানের মাথায় শার্দূল বেয়ারস্টোর উইকেট তুলে ইংল্যান্ডের রানের গতি চেপে দেয় ভারত। চরম মুহূর্তে এই দুটি উইকেট ভারতের জেতার পথ প্রশস্ত করে।

এর পরই ১৪২ রানে শার্দূলের বলে ক্লিন বোল্ড হন মালান এবং পান্ডিয়ার বলে উইকেট খোয়ান ক্যাপ্টেন মরগ্যান। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন মালান(৬৮)। বাটলার করেন ৫২। ভারতের হয়ে ৩টি করে উইকেট তোলেন শার্দূল, ২টি উইকেট পান ভুবনেশ্বর। একটি করে উইকেট পান পান্ডিয়া ও নটরাজন। তবে ইংল্যান্ডের এই লড়াকু মনোভাব প্রশংসার দাবী রাখে। ১২ ওভার পর্যন্ত তাদের রান রেট ভারতকে চাপে ফেলেছিল। শেষ ৬ বলে ৫৭ রান বাকি থাকাকালীন ভারত সিরিজটি জিতে নেয়।

Recent Posts