তিন দেশ পাশে থাকলেও চিন সমস্যায় ভারতকে বুঝে শুনে পা ফেলতে হবে

Advertisement

Advertisement

টোকিও: ভারত-চিন সীমান্তে যে উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা বিশ্বের রাজনৈতিক মহলেও প্রভাব ফেলেছে। যদিও চিনের সঙ্গে ভারতের এই তিক্ততা সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা প্রথম থেকেই ভারতের পাশে রয়েছে। এমনকি এই দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার কাজ করতেও দেখা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। যদিও এই মধ্যস্থতা কাজে দেয়নি ভারত ও চিনের সম্পর্কের উন্নতি ঘটানোর ক্ষেত্রে, তবুও আমেরিকার তরফ থেকে এই পদক্ষেপ জানান দেয় যে, এই সমস্যায় ভারতের পাশে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে শুধু চিনকে নিয়ে মাথাব্যাথা ভারতের একার নয়। চিন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ারও। জাপানের টোকিওতে সদ্য অনুষ্ঠিত ‘কোয়াড’ বৈঠকের আবহাওয়া এমনটাই জানান দিচ্ছে।

Advertisement

চারটি দেশ আমেরিকা, ভারত, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার অংশগ্রহণে নির্মিত হয়েছে ‘কোয়াড’ অক্ষ। বোঝাই যাচ্ছে চারটি দেশের স্বার্থে একটি সাধারণ সূত্র, চিন বিরোধিতা। ‘কোয়াড’-এ ভারতের সদস্যপদ এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক টক্করের পর্বে ভারতকে বিশেষ সাহায্য করবে। যদিও ভারতের থেকে চিন সম্পর্কে বেশি চড়া সুর আমেরিকার। করোনা ভাইরাস বিশ্বে প্রভাব ফেলার পর থেকেই চিনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। আর তারপর থেকেই চিনের বিরোধিতায় সরব হতে দেখা গিয়েছে আমেরিকাকে।

Advertisement

যদিও ভারত ছাড়া বাকি তিন দেশের মূলত মাথাব্যথার কারণ দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে। তবে আমেরিকা চড়া সুর চিনের বিরুদ্ধে প্রকাশ করলেও সরাসরি আমেরিকার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে চিন বিরোধিতা করতে পারছে না ভারত। সেক্ষেত্রে ভারতের কিছু অসুবিধা রয়েছে। বরং আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতকে অনেক বুঝে শুনে, ভেবে-চিন্তে পা ফেলতে হবে সিনের বিষয়ে, এমনটা বলাই যায়।

Advertisement

Recent Posts