Categories: দেশনিউজ

বেকারত্বের নিরিখে মনমোহন জমানার থেকে অনেক পিছিয়ে মোদি সরকার, বলছে সমীক্ষা

Advertisement

Advertisement

নয়াদিল্লি: দিল্লির মসনদে বসার আগে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, দু’কোটি কর্মসংস্থান তিনি এ দেশে করে দেবেন। কিন্তু তা আর বাস্তবে হল কোথায়? বরং মনমোহন সিংয়ের আমলে দেশে বেকারত্বের হার যা ছিল, তা নরেন্দ্র মোদির আমলে বেড়েছে। এমনটাই দাবি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের করা এক সমীক্ষা।

Advertisement

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১১-১২ সালে গ্রামে প্রতি হাজার জনে কর্মহীন ছিল ১৭ জন, শহরে ৩৪। ২০১৮-১৯ সালে তা হয়েছে যথাক্রমে ৫০ এবং ৭৭ জন। দেশের তুলনায় সামান্য ভাল হলেও, কর্মহীনের সংখ্যা বেড়েছে এ রাজ্যেও। পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৯-১০ সালে বাংলার গ্রাম-শহরে যেখানে প্রতি হাজার জনে যথাক্রমে ১৯ ও ৪০ জন কর্মহীন ছিল, এখন সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৩৫ ও ৪৯।

Advertisement

এই সমীক্ষা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে প্রশ্ন উঠছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশ বিদেশি লগ্নির কথা যেভাবে বলেন, অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে এ দেশে তার আমলে যেভাবে তিনি এ কথা দাবি করেন, তা আদতে কি সত্যি করে হয়? মনমোহন জমানার থেকে বেকারত্বের হিসাবের নিরিখে মোদি জমানা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে, এমনটাই সমীক্ষা বলছে।

Advertisement

তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, মোদি জমানায় বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ার কারণ হল, নোটবন্দি এবং জিএসটি। এমনকি করোনা পরিস্থিতি এবং দীর্ঘ লকডাউনের জেরে দেশে প্রায় দু’কোটি মানুষ বাঁধা বেতনের চাকরি খুইয়ে কর্মহারা হয়ে বসে আছে। এর ফলেও বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই মোদি সরকারের বেকারত্বের হার এত বাড়বাড়ন্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই সমীক্ষাকে কাজে লাগিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বা মোদি সরকারকে কটাক্ষ করতে পিছপা হবে না বিরোধী শিবির, এমনটাও মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

Recent Posts