করোনা পরিস্থিতিতে রাশিয়ায় ঘরে বসেই পরীক্ষা দিচ্ছেন গগনযানের চার পাইলট

Advertisement

Advertisement

ভারতবার্তা ওয়েবডেস্ক: বিশ্বজুড়ে করোনা আতঙ্কে এখন ঘরে বসেই চলছে সমস্ত কাজকর্ম। আর সেই ধারা মেনেই ঘরে বসেই বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে গগনযানের পাইলটদের। রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র রসকসমসের সহকারী সংস্থা গ্ল্যাভকসমস জানিয়েছে, এই মুহূর্তে গগনযানের চার পাইলটই সুস্থ আছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই গৃহবন্দি থেকে তাঁদের প্রস্তুতি চালাচ্ছেন। রাশিয়ার পরিস্থিতি বিচার করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের সহকারী এই সংস্থার অধীনেই গগনযানের পাইলটদের প্রস্তুতি পর্ব চলছে।

Advertisement

গ্ল্যাভকসমসের তরফে ইমেলে জানানো হয়েছে, “ইসরো বায়ুসেনার যে পাইলটদের পাঠিয়েছিল তারা সকলেই সুস্থ আছেন। তবে সকলেই ঘরবন্দি আছেন। আপাতত তাদের কোনো প্রাক্টিক্যাল ক্লাস হচ্ছেনা। তাদের এখন থিওরি ক্লাস করানো হচ্ছে। মূল প্রশিক্ষণের ২৫ শতাংশই তারা রপ্ত করে ফেলেছে।” প্রসঙ্গত, বায়ুসেনার পাইলটদের মহাকাশচারী রূপে তৈরি করতে ২০১৯ সালে রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র রসকসমাসের সহযোগী এই সংস্থার সাথে চুক্তি করে ইসরো। রাশিয়ার গ্যাগারিন রিসার্চ অ্যান্ড টেস্ট কসমোনট ট্রেনিং সেন্টারে চলছে পাইলটদের এই প্রশিক্ষণ।

Advertisement

২০২২ সালের এই গগনযান প্রকল্পে নির্বাচিত কয়েকজন মহাকাশচারীকে পাঠানো হবে পৃথিবীর কক্ষপথে। তার জন্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার তুখোড় সাতজন পাইলটকে প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয় রাশিয়ায়। তার মধ্য থেকেই চারজনকে বেছে নেওয়া হয়। তাদেরই এখন রাশিয়ায় গ্ল্যাভকসমসের তত্বাবধানে প্রশিক্ষণ চলছে। নির্বাচিত এই মহাকাশচারীদের ভারতে তৈরি মহাকাশযানে পাঠানো হবে পৃথিবীর কক্ষপথে। সেখানে তাঁরা সাতদিন থাকবেন, পৃথিবীর কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করবেন, বেশ কিছু মহাকাশ গবেষণায় প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করবেন।

Advertisement

এই মুহূর্তে মহাকাশযানটি ২০২২ সালে পাঠানোর কথা থাকলেও প্রাথমিকভাবে তা ২০২১ সালে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিচার করে ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানিয়েছেন, ২০২২ সালেই মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করা হবে। এবং তার আগে ২০২১ সালে মানববিহীন মহাকাশযান দুবার পাঠানো হবে পৃথিবীর কক্ষপথে।

Recent Posts