করোনা উপসর্গ মিটলেও শরীরে অ্যান্টিবডি কার্যক্ষমতা হারাচ্ছে মাত্র তিন মাসেই

যাদের শরীরে একবার করোনা সংক্রমণ হওয়ার পর তাঁরা ফের সুস্থ হয়ে উঠছেন তাঁদের ক্রমে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে।

Advertisement

Advertisement

করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্বের গবেষকগণ করোনার প্রতিষেধক আবিস্কার শুরু করেন। আর সেই করোনার টিকা আবিস্কারে এগিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। সেরকমই লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার তরফে সম্প্রতি জানান হয়, তাঁরা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানব শরীরের উপযোগী একটি অ্যান্টিবডি আবিস্কার করেছেন। আর এই আবিস্কারের পর তাঁরা ৩৪ জন করোনা সংক্রমিত রোগীর উপর তা প্রয়োগ করেন। আর এরপর সেই একই ব্যক্তিদের অ্যান্টিবডি প্রবেশের দুই তিন মাস অন্তর তাঁদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

Advertisement

আর সেই নমুনার রিপোর্টে অবাক গবেষকরা। ওই ব্যক্তিদের নমুনা পরীক্ষা করার পর রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, যাদের শরীরে একবার করোনা সংক্রমণ হওয়ার পর তাঁরা ফের সুস্থ হয়ে উঠছেন তাঁদের ক্রমে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। আর এই বিবৃতি এক বাক্যে স্বীকার করেছেন গবেষকদল। এছাড়া যাঁদের শরীরে স্বল্প অসুস্থতা বা উপসর্গ রয়েছে তাঁদের হরমোনাল ইমিউনিটি দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর রোগীর দেহে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হলেও সেই অ্যান্টিবডি তিন মাসের (৭৩ দিন) মধ্যে তাঁর কার্যক্ষম ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে।

Advertisement

‘He New England Journal of Medicine’-এর একটি গবেষণা পত্রতে এটাই দাবি করা হয়েছে। ৭৩ দিনের পর ফের পরীক্ষা করা হলে দেখা যাচ্ছে, ৯০ দিনের মাথায় অ্যান্টিবডি সম্পূর্ণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। করোনা উপসর্গগুলি যেমন জ্বর, কাশি ও গলাব্যথা ছাড়াও রোগীর গন্ধ ও স্বাদ চলে যাওয়ার ক্ষতিকর।

Advertisement