বুধবার সকালে তামিলনাড়ুর কুন্নুরে সেনা হেলিকপ্টারের ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সূত্রের তরফ জানা গিয়েছে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়া হেলিকপ্টারে ছিলেন সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত। শুধু তিনি একা নন এক হেলিকপ্টারে আরও কয়েকজন সেনা আধিকারিক এবং সিডিএসের পরিবার সদস্য ছিলেন।
কি কারণে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটলো? জানা যাচ্ছে খারাপ আবহাওয়ার জন্যেই হেলিকপ্টার এই ক্র্যাশ হয়েছে। কুয়াশার কারণে এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নাকি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ঘটেছে তা জানতে ইতিময়প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে।
সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এই বিষয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট খবর দেওয়া হয়নি। জানা গিয়েছে, উটিতে অবস্থিত একটি সেনা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেনা আধিকারিকরা গিয়েছিলেন হেলিকপ্টারে সওয়ার হয়ে। তার মাঝেক
কপ্টার MI-17 গভীর জঙ্গলে ভেঙে পড়ল সেনা কপ্টার।
সেনার তরফ থেকে জানান হয়েছে, এই কপ্টারে ছিলেন বিপিন রাওয়াতের স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াতও। জঙ্গলে ভেঙে পড়ার পর সাথে সাথে আগুন লেগে যায় কপ্টারটিতে। কপ্টারে থাকা ১৪ জনের মধ্যে এখনো অবধি তিন জনকে উদ্ধার করা যেতে পেরেছে। আর চার জনের সাথে সাথে মৃত্যু হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে।কিন্তু আর বাকি যাত্রীদের কি অবস্থা, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।আহত সেনা আধিকারীককে নীলগিরির ওয়েলিংটন ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, হেলিকপ্টারটি কোয়েম্বাটোর জেলার সুলুর থেকে তামিলনাড়ুর কুন্নুরের ওয়েলিংটন আর্মি সেন্টারে উড়ানের ১০ মিনিটের মধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেনা কপ্টারটি। পাহাড়ি এলাকায় ভেঙে পড়ার পর আগুন ধরে যায় কপ্টারটিতে। ফলে সেনা কপ্টারে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের জীবনরক্ষার সম্ভাবনা খুবই কম। স্থানীয়দের বয়ানে জানা যাচ্ছে, যখন দুর্ঘটনা কবলিত এই সেনা কপ্টার থেকে কোনো যাত্রী বেরিয়ে আসতে পারেননি । ভারতীয় বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার ভেঙ্গে পড়ার সাথে সাথে শুরু হয় বিশাল অগ্নিশিখা। এই ঘটনার সাথে সাথে স্থানীয়রা তৎক্ষণাত উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। বেশ কয়েকটি দল এইদিন ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজ চালানো শুরু করে দেয়।