শরীর এতটাই খারাপ ছিল, যে শোভন আমাকে ছেড়ে যেতে পারেনি মিছিলে, ক্ষমাপ্রার্থী বৈশাখী

দীর্ঘ যাত্রা করে ভুবনেশ্বর থেকে ফিরেছিলাম। তারপরে আমার এবং শোভনের দুজনের কারো শরীর ভালো ছিল না। এই কারণে কাল মিছিলে আমরা উপস্থিত থাকতে পারিনি।

Advertisement

Advertisement

বিজেপি সদর দপ্তর থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে সোমবারের মিছিলে দেখা যাবে শোভন চট্টোপাধ্যায়(Sovan Chatterjee), বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Baishakhi Banerjee)। কিন্তু মোক্ষম সময়তে দুজনেই গরহাজির। সোমবার তাদের পরিবর্তে মিছিলে নেতৃত্ব দিতে এলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailas Vijayvargiya), মুকুল রায় (Mukul Roy) এবং অর্জুন সিং (Arjun Singh)। চাপের মুখে পড়ে ঠিক তার পরের দিন একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে ক্ষমা চাইলেন শোভনের বান্ধবী বৈশাখী।

Advertisement

সাক্ষাৎকারে বৈশাখী প্রথমেই বললেন,” প্রথমেই আমি সমস্ত বিজেপি কার্যকর্তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি কারণ কালকে মিছিলে আমি উপস্থিত থাকতে পারিনি। যদিও সেটা আমি আগে নেতৃত্ব কে জানিয়েছি এবং না আসার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমার শরীর একেবারেই ভাল ছিলনা। দীর্ঘ যাত্রা করে ভুবনেশ্বর থেকে ফিরেছিলাম। তারপরে আমার এবং শোভনের দুজনের কারো শরীর ভালো ছিল না। এই কারণে কাল মিছিলে আমরা উপস্থিত থাকতে পারিনি।”

Advertisement

তবে শুধুমাত্র বৈশাখী নয়, শোভনকেও সেদিন মিছিলে দেখা যায়নি। এই প্রশ্নের উত্তরে বৈশাখীর সাফাই, “আমি তাও কাল একবার চেষ্টা করেছিলাম, যদি আমার পায়ের ফোলা কমে তাহলে আমি যাব। কিন্তু আমার অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে শোভন আমাকে ছেড়ে যেতে পারেনি। বাড়িতে বড় কেউ ছিলনা। তাই আমাকে ছেড়ে তিনি আর যেতে পারেননি।”

Advertisement

পাশাপাশি বৈশাখীর অভিযোগ, মিছিলের আহ্বায়ক রাকেশ সিং তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে মিছিলের দিন সকালে বিজেপি সদর দপ্তর থেকে একজন ফোন করে তাকে জানিয়েছেন এই মিছিলে তিনি আমন্ত্রিত নয়। বৈশাখী বললেন,” রাকেশ সিংয়ের পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে আমার নাম ছাড়াও শোভন বাবু, কৈলাস জির নাম ছিল। তবে বিজেপির মিডিয়া সেল থেকে জানা যায় শঙ্কুদেব পণ্ডা এবং দেবজিৎ এর নাম পরবর্তীকালে ঢুকেছে। কিন্তু আমার নাম কিন্তু সেখান থেকে বাদ পড়তে দেখি নি। তবে মিছিলের দিন সকালে বিজেপি অফিস থেকে একজন আমাকে ফোন করে জানায় যে এটা আপনার মিছিল নয়, শোভন বাবুর মিছিল।