ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

ট্রেনের মধ্যে কত সিসি ইঞ্জিন থাকে জানেন? জানলে আপনিও যাবেন চমকে

ট্রেনের ইঞ্জিন কিন্তু বাইকের ইঞ্জিনের থেকে অনেক বেশি বড়

Advertisement

Advertisement

আজকাল আমরা যখনই একটা নতুন বাইক কিনি তখন আমরা এর ইঞ্জিনের সিসি দেখে নিই। বাইকের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি সিসি বিকল্প রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ১০০ সিসি ১২৫ সিসি এবং ১১০ সিসি বাইক। ভারতে এই ধরনের বাইক একটু বেশি বিক্রি হয়। অনেকে যারা একটু বেশি ক্ষমতার বাইক কিনতে চান তাদের জন্য ২০০ সিসি অপশনও খোলা রয়েছে। এছাড়াও এর থেকে বেশি সিসির বাইকও কিন্তু পাওয়া যায়। কিন্তু আপনারা কি জানেন, এই বাইকের মতোই ট্রেনের ইঞ্জিনিও কিন্তু সিসি থাকে। তবে আপনি হয়তো অনুমানও করতে পারবেন না কত বেশি সিসির ইঞ্জিন থাকে ট্রেনে। এত বড় ট্রেন চালানোর জন্য ইঞ্জিন এর ক্ষমতা কত হতে হয়।

Advertisement

ট্রেনের ইঞ্জিন কে মূলত লোকোমোটিভ বলা হয় এবং এই ইঞ্জিনে যিনি বসে থাকেন তাকে বলা হয় লোকো পাইলট। তিনি পুরো ট্রেনটি কে সঠিক পথে নিয়ে যান। ইঞ্জিন ক্ষমতা সম্পর্কে কথা বললে এই লোকোমোটিভ ইঞ্জিনে ১৬ টি সিলিন্ডার রয়েছে এবং প্রতিটি সিলিন্ডারের ক্ষমতা ১৫০ লিটার। আপনাদের জানিয়ে রাখি, গাড়ির ক্ষেত্রে মাত্র চারটি সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয় ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে। একটি গাড়ির ইঞ্জিন মাত্র এক থেকে দু লিটার ক্ষমতা বিশিষ্ট। কিন্তু, একটি ট্রেনের ফুয়েল ট্যাঙ্ক কিন্তু অনেক বড়।

Advertisement

যদি আমরা সিসি ক্ষমতা সম্পর্কে বলি তাহলে একটি ট্রেনের একটি সিলিন্ডারের ক্ষমতা ১০ হাজার ৯৪১ সিসি। অর্থাৎ হিসাব করে দেখতে গেলে যদি ১৬ টি সিলিন্ডারের ক্ষমতা একসাথে গুণ করা হয়, তাহলে একটি ট্রেনের মোট ধারণ ক্ষমতা ১.৭৫ লক্ষ সিসিতে পৌঁছায়। তাহলে বুঝে দেখুন, বাইক আর ট্রেনের ক্ষমতার মধ্যে কতটা তফাৎ রয়েছে।

Advertisement

Recent Posts