স্বস্তিতে গেরুয়া শিবির, পরিবর্তনের যাত্রায় নিষেধাজ্ঞার দাবি খারিজ করল আদালত

কিছুদিন আগে জনস্বার্থ মামলা হিসেবে পরিবর্তনের যাত্রা স্থগিতের কথা তোলা হয় শাসক শিবিরের পক্ষ থেকে। আজ তা খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত

Advertisement

Advertisement

পরিবর্তনের যাত্রা নিয়ে এখন অনেকটাই নিশ্চিন্ত গেরুয়া শিবির। পরিবর্তন যাত্রা নিয়ে আর কোনও আইনি বাধা নেই বলে আজ জানিয়েছে দিয়েছে আদালু/ এই পরিবর্তনের যাত্রা রুক্ষতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টে। সেই মামলা এই দিন খারিজ করে দিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, এটা কোনও জনস্বার্থ মামলা হতে পারেনা। এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজনৈতিক সমস্যা মেটানোর জন্যই এটিকে মামলা আঁকারে পেশ করা হয়েছে। এইদিন তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক সমস্যা মেটানোর স্থান আদালত নয়। এই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য অনেক গণতান্ত্রিক পদ্ধতি রয়েছে। তার মধ্যে নির্বাচন অন্যতম। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন রমাপ্রসাদ সরকার। মামলা দায়ের করার সময় তিনি নিজেকে শাসক শিবিরের লিগাল সেলের সদস্য বল পরিচয় দিয়েছিলেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলায় পরিবর্তনের ডাক দিয়েছে বিজেপি। এই রথযাত্রা হলে বাংলার আইন শৃঙ্খলা অবনতি হতে পারে, এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন তারা। এরপরেই রমা প্রসাদ সরকার হাই কোর্টের কাছে যান। আজ ছিল সেই মামলার শুনানি। কিন্তু এটি জনস্বার্থ মামলা হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয়নি। তাই এইদিন তার মামলাটি খারিজ করে দেন বিচারপতি। উল্লেখ্য, আগের বারও গেরুয়া শিবিরের রথযাত্রার আগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রমাপ্রসাদবাবুও। এবারও সেই আইনশৃঙ্খলার যুক্তি দেখিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। এই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত মনে করছে, আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখা রাজ্যের দায়িত্ব। রথযাত্রার হলে আইনশৃঙ্খলা সামলানোর দায়িত্ব রাজ্যেরই।

Advertisement

বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাকারী আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকারের পক্ষ থেকে পরিবর্তন যাত্রা স্থগিতের দাবিতে একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশের আবেদন জানানো হয়। তার তরফে দাবি করা হয়, রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পরিবর্তন যাত্রা হলে আরও সমস্যা বাড়বে। বিজেপির তরফে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি। সওয়ালে তিনি বলেন, গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে পরিবর্তন যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছে। আসলে রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে যোগসাজশ করে পরিবর্তন যাত্রায় বাধা দিতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।