দারুন সুখবর! ১৫০০০ এর বেশি শূন্যপদে হতে চলেছে শিক্ষক নিয়োগ

বৃহস্পতিবার সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ তুলে দিয়েছে। এর ফলে শর্তসাপেক্ষে ১৫,২৮৪ শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারে রাজ্য সরকার।

Advertisement

Advertisement

বিধানসভা নির্বাচনের আগে বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার। তার পাশাপাশি এদিন আদালত চাকরি প্রার্থীদের জন্য নতুন করে সুখবর শোনালো নির্বাচনের আগে। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ঘোষণা করে দিল শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ এখনই রাখা হচ্ছে না। এর ফলে ক্যারিয়ার তৈরি করার সুযোগ পাচ্ছে ১৬,৫০০ জন চাকরিপ্রার্থী। বৃহস্পতিবার সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ তুলে দিয়েছে। এর ফলে শর্তসাপেক্ষে ১৫,২৮৪ শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ করতে পারে রাজ্য সরকার। আদালতের তরফ থেকে এদিন জানানো হলো, “চলতি মাসের ২ সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ মেধাতালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে জমা দিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।”

Advertisement

গত ২৩ ডিসেম্বর তারিখে ১৬,৫০০ শূন্য পদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থী এবং যাদের প্রশিক্ষণ রয়েছে ইতিমধ্যেই তারা আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এর তরফ থেকে। গত জানুয়ারি মাসে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। তার সঙ্গেই সব শূন্য পদের জন্য কেন মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়নি সেই নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছে পর্ষদ।

Advertisement

সাত বছর হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশনে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব হয়নি। আর ভোটের মুখে শিক্ষকদের অবস্থান বিক্ষোভে বেশ কিছুটা চাপের মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার। উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া বারবার আটকে যাচ্ছে আইনী জটিলতার কারণে। কিন্তু এবারে আদালতের নির্দেশে আবারো ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া চলবে। ভেরিফিকেশন হয়ে গেলে আশা করা যাচ্ছে আর কিছুদিনের মধ্যেই উচ্চমাধ্যমিকে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

Advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত ১১ ডিসেম্বর তারিখে ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যে ১৬,৫০০ পদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে খুব শীঘ্রই। তার সাথেই টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। ৩১ জানুয়ারি তারিখে টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। কিন্তু এখনই সেই টেট পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোচ্ছে না।