Categories: দেশনিউজ

ভয়াবহ দূষণে ডুবে রয়েছে গোটা রাজধানী, দীপাবলিতে দূষণের মাত্রা বেড়েছে আরও বেশি

Advertisement

Advertisement

দিল্লী  : ভারতের বড় বড় শহর গুলির মধ্যে অন্যতম দূষিত শহর হল দিল্লী। এই রাজ্যে দূষণের পরিমাণ এতই বেশি যে মাঝে মাঝে আকাশ ধোঁয়ায় ঢাকা পড়ে যায়। গতকাল দীপাবলীর উৎসব উপলক্ষে দিল্লীতে এই দূষণের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজধানী দিল্লিকে নিয়ে চিন্তিত গোটা দেশ।

Advertisement

সম্প্রতি বায়ু দূষণের মানের সূচক অনুযায়ী দিল্লির বাতাসের গুণমান ‘ খুব খারাপ’। ধোঁয়াশার স্তরে জাতীয় রাজধানী সম্পূর্ন ডুবে রয়েছে এবং বায়ুর গুণমান ‘অত্যন্ত দুর্বল’ ক্যাটাগরি।বায়ু মানের সূচক অনুযায়ী, ০-৫০ এর মধ্যে একটি একিউআইকে ভালো হিসাবে বিবেচনা করা হয়, ৫১-১০০ “সন্তোষজনক”, ১০১-২০০ “মাঝারি”, ২০১-৩০০” দরিদ্র”, ৩০১-৪০০” খুব দরিদ্র”,, ৪০১-৫০০”গুরুতর” এবং ৫০০ এর উপরে “গুরুতর জরুরি অবস্থা “।

Advertisement

সরকারি সংস্থার খবর অনুসারে কাল দীপাবলীর দিন রাত ১১ টায় দিল্লির সামগ্রিক বায়ু মানের সূচকটি ৩২৭ দাঁড়ায়।শনিবার এটি ৩০২ এ দাঁড়িয়েছিল। বায়ু দূষণের পরিমাণ দীপাবলীর দিনে কম করার জন্য সুপ্রীম কোর্ট রবিবার আতসবাজি ফাটানোর জন্য দুই ঘণ্টার সীমা প্রয়োগ করেছিলো। মালভিয়া নগর, লজপত নগর, লক্ষ্মী নগর, ময়ূর বিহার, সরিতা বিহার, হরি নগর, নিউ ফ্রেন্ডস কলোনি, দ্বারকা, প্রতিটি জায়গার লোকেরা সুপ্রীম কোর্ট নির্দেশ মেনে ২ ঘণ্টার মধ্যে আতসবাজি পোড়ায়।

Advertisement

তবে বিষাক্ত ধোঁয়া এবং আতশবাজি থেকে বেরোনো ছাই বাতাসকে ভরাট করায় সামগ্রিক বায়ু মানের সূচকটি অনেক জায়গায় “গুরুতর ” চিহ্নটি অতিক্রম করেছে। সরকারের বায়ু মানের মনিটর, SAFAR (সাফার) জানায় প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতে আতসবাজি পোড়ানোর বায়ুমণ্ডলে দূষণ আরো বাড়ে। SAFAR ভবিষ্যদ্বাণী করে করে বলে আজ সার্বিক বায়ু মানের সূচকটি ‘গুরুতর’ বিভাগে ডুবে যেতে পারে।

দিল্লির বায়ুমান প্রতি বছর দীপাবলির আশপাশে বিপজ্জনক মাত্রায় ডুবে যাওয়ায় সুপ্রীম কোর্ট ২০১৮ সালে দূষণকারী পটকাবাজি নিষিদ্ধ করেছিল এবং আদেশ দিয়েছিল কেবল সবুজ আতশবাজি পোড়ানোর কারণ এই আতসবাজিতে বায়ু দূষণ ৩০ শতাংশ কম হয়। কিন্তু এই আতসবাজির উচ্চ দাম এবং সীমিত পরিমাণে পাওয়া যায় বলে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের উভয়ের কাছে তেমন ভাবে গ্রহণীয় হয়ে উঠে নি তাই লোকেরা প্রচলিত আতশবাজি কিনতে বাধ্য হয়েছে যার ফালে বেড়েছে দূষণের মাত্রা ।