নয়াদিল্লি: দেশের মধ্যে করোনা পরিস্থিতি যথেষ্ট সঙ্কটজনক, করোনার ভযাল চিত্র এতটাই খারাপ যে, মহারাষ্ট্র পুনরায় লকডাউন হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীর একটাই প্রশ্ন, কবে আসবে ভ্যাকসিন? কবে সর্বসাধারণের মধ্যে ভ্যাকসিন বন্টন করা হবে, এই প্রশ্ন সকলের মধ্যে জাগছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছিলেন, ভ্যাকসিন ভারতের বাজারে আসলেই তা প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মী এবং দেশের প্রবীণ নাগরিকদের ওপর বন্টন করা হবে। পরবর্তী সময়ে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে দেশের সব নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। কিন্তু ভ্যাকসিন বাজারে আসার দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই উল্টো সুর গাইছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, দেশের সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তারা দেয়নি। এমন উল্টো কথা বলেছেন স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ।
তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘দেশের প্রত্যেক নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, এ কথা আমরা একবারও বলিনি। ভ্যাকসিন বাজারে আসার পর বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে তথ্য পাওয়ার পরেই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে। এক্ষেত্রে কাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তা স্বাস্থ্যমন্ত্রক ঠিক করবে। এক্ষেত্রে সরকার নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। আমরা একটা তালিকা তৈরি করব। যার নিরিখে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের মধ্যে যদি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, তাহলে করোনার শৃঙ্খলাকে ভেঙে দেওয়া যাবে। আর তাতেই যদি ভাল হয়, তাহলে অকারণে দেশের প্রত্যেক নাগরিককে ভ্যাকসিন দেবো কেন? তবে সবাইকে ভ্যাকসিন না দেওয়া হলেও মাস্ক পরা সকলের জন্যই বাধ্যতামুলক।’ এভাবেই উল্টো সুর গেয়েছেন রাজেশ ভূষণ।