Categories: দেশনিউজ

হাথরসের ঘটনার পেছনে হনার কিলিং-এর ছায়া, সামনে আসল অজানা তথ্য

Advertisement

Advertisement

হাথরস নিয়ে প্রতিদিনই উঠে আসছে নানা তথ্য, এবার চার অভিযুক্ত ধর্ষণ নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছে। তাঁদের মতে ধর্ষণ নয়, অনার কিলিংয়ের শিকার হয়েছে ১৯ বছরের ওই দলিত তরুণী। এরই মধ্যে ফরেনসিক রিপোর্টের উল্লেখ করে যোগী রাজ্যের পুলিশের দাবি, তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়নি।

Advertisement

অন্যদিকে এই বিষয় মানতে নারাজ উত্তরপ্রদেশের আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিএমও। ধর্ষণের অভিযোগের ১১ দিন পরে ওই তরুণীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এতদিন পরে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া সম্ভব নয়। ফলত ধর্ষণ হয়েছে কিনা তাও বোঝা সম্ভব নয়। অন্য দিকে পরিবার বলছে গণধর্ষণ করে খুন হয়েছে ওই তরুণীর।

Advertisement

১৯ বছরের দলিত তরুণীর মর্মান্তিক মৃত্যুকাণ্ডে গ্রেফতার চার অভিযুক্ত ইতিমধ্যেই পুলিশকে একটি চিঠি লিখেছে।  শনিবার সন্ধ্যাবেলায় পীড়িতার পরিবারের বয়ান নথিভুক্ত করার জন্য সিট হাথরসে পৌঁছয়৷ কিন্তু নির্যাতিতার বাবার স্বাস্থ্য একেবারে ঠিক নেই৷ সিটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ওঁনার শরীর ঠিক হলে ফের তাঁর কাছে যাওয়া হবে৷ আর এই খারাপ পরিস্থিতির মাঝেই একের পর এক বিজেপি নেতার নেতিবাচক মন্তব্যে পরিবেশ আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।

Advertisement

এবার হাথরস-কাণ্ডে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটকে আরও ১০দিন সময় দিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। তদন্তে আরও কিছু তথ্য উঠে আসায় বাড়ানো হল তিন সদস্যের সিটের রিপোর্ট জমার মেয়াদ। কিছু দিন আগেই এই ঘটনার পরেই যোগী আদিত্যনাথ সরকার হাথরসের ঘটনায় সিবিআই দিয়ে তদন্তের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে৷ ইতিমধ্যেই হাথরস ধর্ষণ কান্ড নিয়ে তোলপাড় হয়েছে সারা ভারত।

প্রধান অভিযুক্ত সন্দীপ ঠাকুরের হাতে লেখা সেই চিঠি বলছে, “ঘটনার দিন আমি ওর সঙ্গে দেখা করতে খেতে গিয়েছিলাম। ওর মা আর দাদাও সেখানে ছিল। ও আমাকে ফিরে যেতে বলায় আমি বাড়ি চলে আসি। পরে গ্রামবাসীদের কাছে জানতে পারি আমাদের বন্ধুত্ব নিয়ে ওর মা-দাদা ওকে বেধড়ক মারধর করেছে। জানতে পারি, ও গুরুতর জখম হয়েছে। আমি কখনও ওর গায়ে হাত তুলিনি। ওর মা-দাদা, আমি এবং আরও ৩ জনকে মিথ্যে ঘটনায় ফাঁসিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছে”।

Recent Posts