রাধাষ্টমীর অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো!

Advertisement

Advertisement

প্রেম এমন এক শব্দ যা এই অবনীর সকল গ্লানি ও পীড়া বিস্মৃত করতে এক সক্রিয় ভূমিকা পালন করে থাকে। এবং প্রেমের দেবতা বলতে আমরা শুধুমাত্র শ্রী কৃষ্ণর কথাই বুঝি। কিন্তু এই শ্রী কৃষ্ণকে পরিপূর্ণ করতে এই ধরাধামে নেমে এসে ছিলেন শ্রী কমলার অবতার শ্রী রাধীকা। এই দুই মিলিত তনু সৃষ্টি করেছিল প্রেমের এক নতুন পরিভাষা, যা এই জীবজগৎকে এক নবরূপে অনুপ্রাণিত করেছিল।

Advertisement

এই তিথি মূলত রাধারানীর শুভ আবির্ভাবকে কেন্দ্র করে। জন্মাষ্টমীর কিছুটা সময়ের পর পালন করা হয় এই তিথি। পুরাণ মতে রাজা বৃষভানু শ্রী রাধীকাকে এক জলাশয়ের মাঝে অবস্থিত এক পদ্ম ফুলের মাঝে পান। চারিদিকে তখন এক প্রণয়ের অবরণ। রাজা তাঁকে প্রাসাদে নিয়ে আসেন। রানী কীর্তিদার হস্তে অর্পণ করেন। এবং অতি আদর ও যত্নে প্রতিপালিত হতে থাকেন শ্রী রাধীকা। আজ তাঁরই দিবস। শ্রী রাধীকা ও শ্রী কৃষ্ণের প্রেমগাথা আজও বহমান এই মানব জগতের রন্দ্রে রন্দ্রে। কতই না লীলা তাঁদের, এই মানব কল্যাণের অভিপ্রায়ে। শ্রী কৃষ্ণের সেই মধুরবাসী আর শ্রী রাধীকার সেই বাঁশির সুরের তালে নৃত্য, এক কথায় অনবদ্য।

Advertisement

বলা হয় যে ভদ্র মাসের শুক্লপক্ষের এই পবিত্র তিথিতে যে শ্রী রাধীকার কোমল চরণে নিজেকে সমর্পিত করতে পারবে, তার সকল ইচ্ছা পূরণ হবে। বিভিন্ন স্থানে আমরা তাঁর আরাধনায় আজ সমবেত হয়েছি। আর মধ্যে ইশকন বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্য। ধুপধুনোর মাঝে আজ এই উৎসব ঘরে ঘরে পালন করা হচ্ছে। সঙ্গে কাসর ও শঙ্খ ধ্বনিও বর্তমান। সময় তার আপন ছন্দে বয়ে চলেছে। প্রেম ও একই পথের পথিক। তবুও তাঁদের প্রেমের কাছে সময়ও পরাস্ত হয়েছে। প্রেম এক চিরন্তন অনুভূতি। আজকের এই শুভ লগ্ন তারই বার্তা বহন করে, প্রদান করে এক স্নিগ্ধতা, এক পরম শান্তি এই চিত্তকে!!

Advertisement

Written by – কুণাল রায়

Recent Posts