মুখ্যমন্ত্রী ৫ পাতার চিঠি রাজ্যপালকে পাঠিয়েছিলেন। তার উত্তরে রাজ্যপাল ২ টি চিঠি পাঠিয়েছেন। একটি বৃহস্পতিবার ও আরেকটি শুক্রবার,তাও আবার ১৪ পাতার ৩৭ টি পয়েন্ট করে চিঠি লিখেছেন। শুক্রবারের চিঠিতে রাজ্যপাল সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ বলে উল্লেখ করেছেন। চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, করোনা মোকাবিলায় আপনি ব্যর্থ। এই ব্যর্থতা থেকে মানুষের নজর ঘোরাচ্ছেন। আপনি সংখ্যা লঘুদের তোষণ করছেন। নিজামুদ্দিন প্রসঙ্গে আপনাকে প্রশ্ন করা হলে আপনি বলেছিলেন সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন।”
চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন যে রাজ্যপাল যা করছেন তা সংবিধান অনুসারেই হয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রী সংবিধানের নির্দেশ অমান্য করছেন। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর রাস্তায় বেরিয়ে গন্ডি কাটা ও মাইকিং করে সচেতনতার প্রচারকে তিনি নাটক বলে ও উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, বিধান চন্দ্র রায়-র মতো হবার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি পরামর্শ দিয়েছেন।
রেশন দুর্নীতির প্রসঙ্গের পাশাপাশি রাজ্যপাল সিএএ-র প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর গতকালের দেওয়া চিঠিতে করোনা মোকাবিলায় কোন কোন বিষয়ের প্রসঙ্গের উল্লেখ নেই, সেটাও তিনি আজকের চিঠিতে লিখে দিয়েছেন। রাজ্যে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য এবং চিকিৎসকদের জন্য আরও বেশি করে পিপিই দেবার কথাও তিনি উল্লেখ করেছিলেন।