West Bengal: স্ট্রিটফুড বিক্রি করতে প্রয়োজন লাইসেন্স! নতুন পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

Advertisement

Advertisement

রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় নানান মুখরোচক খাবার আমরা দেখতে পাই। বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই এই স্ট্রিট ফুড খেতে ভালোবাসে। তবে পথের খাবার বা স্ট্রিট ফুড কতটা নিরাপদ সকলের জন্য। এই প্রশ্ন বেশি করে উঠতে শুরু করেছে বারংবার। তবে লোকে এসব না মেনে বেশি করে স্ট্রিট ফুড করে খায়। দুবছর ধরে করোনাভাইরাসের প্রভাব দেখেছে গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাস এখনো আমাদের জীবন থেকে বিদায় না নিলেও এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে স্বাভাবিক হচ্ছে এই পথের খাবার বা স্ট্রিট ফুড। এই পরিস্থিতিতে এবার ফুচকা থেকে ঝালমুড়ি, গোটা ফল থেকে কাটা ফল সকলে আবার খাওয়া শুরু করেছে।

Advertisement

এবার থেকে এই স্ট্রিট ফুডের সব খাবারে স্বাস্থ্য দফতরের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এমনকী এই সমস্ত স্ট্রিটফুড বিক্রেতার রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। নয় এর আগেও নিয়ম ছিল ফুচকা, ঝালমুড়ি, কাটা ফল, গোটা ফল সহ সবধরনের স্ট্রিটফুডের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দপ্তরের রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন। এই নিয়ম থাকলেও এ নিয়ে তেমন কড়াকড়ি ছিল না। কিন্তু এবার এই সকল বিষয় নিয়ে কড়াকড়ির পথেই হাঁটতে চলেছে রাজ্য সরকার।

Advertisement

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর এই কোভিড পরিস্থিতিতে সদ্য এই উদ্যোগ নিয়েছে এই ধরনের খাদ্য সামগ্রী বিক্রেতার রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে। সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই রাজ্যের সব জায়গায় সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফুড সেফটি অফিসার নিয়োগ করা হবে। আর এই সকল অফিসারদের কাজ হবে, এই ধরনের স্ট্রিটফুড বিক্রেতাদের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে কিনা অথবা যাদের লাইসেন্স প্রয়োজন তারা নিয়েছেন কিন তা খতিয়ে দেখা।

Advertisement

এই বিষয়ে প্রসঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের খাদ্য সুরক্ষা শাখার ফুড সেফটি ইনস্পেক্টিং অফিসার বিশ্বজিৎ মান্না সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘এই আইনে বেবি ফুড থেকে ফুচকা— সবকিছুই খাদ্য সুরক্ষা শাখার অধীনে। রাজ্যের সর্বত্র এই আইন সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হচ্ছে। ছোট ব্যবসায়ী, রাস্তার পাশে বসা অস্থায়ী দোকানদার থেকে হকার খাদ্যসামগ্রীর ব্যবসা করলেই এফএসএসএআই রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। প্রতি বছর ১০০ টাকা দিয়ে এই লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ করাও বাধ্যতামূলক। আর বড় অঙ্কের ব্যবসা যাঁরা করেন তাঁদের ক্ষেত্রে লাইসেন্স থাকা তো অবশ্যই বাধ্যতামূলক।’

জানা গিয়েছে, এই আইন শুধু কলকাতা নয় বরং সব শহরে জোর দেওয়া হবে। এখন স্ট্রিট ফুডের পাশাপাশি মাছ, সবজি বিক্রেতাদেরও রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক হচ্ছে। জেলায় জেলায়ও এই ব্যবস্থা শুরু করা হচ্ছে। তার জন্য অফিসাররা জেলায় গিয়ে ঘুরে দেখবেন। এমনকি যাঁরা পথে খাবার বিক্রি করেন তাঁদের লাইসেন্স–রেজিস্ট্রেশন করার বিষয়টি বলা হবে। যারা নিয়ম মানবেনা তাহলে শাস্তি পাবেন তাঁরা।

Recent Posts