নিউজপলিটিক্সরাজ্য

শীতলকুচির মৃতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অনুমতি নির্বাচন কমিশনের, তবে ভোটপ্রচারে উল্লেখ নিষেধ

মৃতদের ৫ লাখ ও আহতদের ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে

Advertisement
Advertisement

একুশে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে বাংলায়। গতকাল চতুর্থ দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। চতুর্থ দফা নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানো নিয়ে এবং তাতে ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়েছে গোটা বঙ্গ রাজনীতি। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল সুপ্রিমো আজ আজ রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি কালো পোশাক পড়ে। আর তখনই তিনি শীতলকুচিতে মৃতদের পরিবারের সাথে ভিডিও কলে কথা বলেন এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেন। কিন্তু মমতার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বক্তব্যে ফের বঙ্গ রাজনীতিতে সমালোচনা শুরু হয়। আসলে ভোট চলাকালীন নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন বিধি অনুযায়ী কোন সরকার নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া কোনো ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে না। তাই মমতার কথায় তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

Advertisement
Advertisement

তবে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন শীতলকুচির মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। তবে তারা জানিয়ে দিয়েছে যে সরকার ভোটপ্রচারের কাজে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা কোনভাবেই উল্লেখ করতে পারবে না। এছাড়াও ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের হাতে টাকা তুলে দেবে জেলাশাসক বা তাদের প্রতিনিধি কোন সরকারি আধিকারিক। জানা গিয়েছে, শাসকদল শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত ৪ জনের পরিবারকে মাথাপিছু ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে। এছাড়া আহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গতকাল চতুর্থ দফা নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চারজন যুবকের। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৪ জন। তাদের মধ্যে একজনের পায়ে গুলি লেগেছে। এই ঘটনার পরই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার দায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর উপর চাপান এবং বলেন শাহ নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী এমন কাজ করেছে। এই নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে প্রবল চাপানউতোর শুরু হয়। সেই সাথে তিনি বলেন আজ সকালেই তিনি শীতলকুচিতে মৃতদের পরিবারের সাথে দেখা করতে যাবেন। তবে তার আগেই গতকাল রাতে নির্বাচন কমিশন নয়া নির্দেশিকা জারি করে বলে দেয় যে আগামী ৭২ ঘন্টায় কোচবিহারে কোন রাজনৈতিক নেতা বা নেত্রী প্রবেশ করতে পারবে না। তারপরই আজ সকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিডিও কল করে শীতলকুচি মৃতদের পরিবারের সাথে কথা বলেন।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button