Trending NewsAppleNYT GamesCelebrity NewsWordle tipsBig 12 SoccerCelebrity BreakupsKeith UrbanUnited Nations Day

‘মেয়েটা জিতলে ছেলের মৃত্যুর বিচার পাবে’, মীনাক্ষীর পাশে মৃত মইদুল মিদ্দার মা

Updated :  Monday, March 29, 2021 7:13 PM

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম দফা নির্বাচন ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এরপর রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হবেন। এই হাইভোল্টেজ লড়াই দেখার জন্য সবাই উদগ্রীব হয়ে আছে। কিন্তু এরই মাঝে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বাম প্রার্থী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এই তরুণ তুর্কি রীতিমতো প্রচারে ঝড় তুলেছে নন্দীগ্রাম জুড়ে। এমনকি DYFI কর্মী মইদুল মিদ্দার মা তসমিনা মিদ্দা এই তরুণ তুর্কির পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি একটি ভিডিওর মাধ্যমে জনগণকে বার্তা দিয়ে বলেছেন, “চাকরি খুজতে গিয়ে আমার ছেলে ওদের হাতে মার খেয়ে মারা গেছে। এরপর আমি চাই আমার মেয়েকে আপনারা জেতান।”

সম্প্রতি নন্দীগ্রামে সংযুক্ত মোর্চার নির্বাচনী প্রচারে বাধা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই সিপিএম নির্বাচন কমিশনের তাদের অভিযোগ জানিয়েছে। এমনকি ঘটনার প্রতিবাদে থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেছেন এলাকার সিপিএম প্রার্থী মীনাক্ষী। এছাড়াও রাস্তা অবরোধ করতে দেখা গিয়েছে অনেক তাবড় তাবড় সিপিএম নেতাদের। যদিওবা তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। আবারো মৃত কর্মীর মা মীনাক্ষীর পাশে দাঁড়িয়ে বলেছেন, “কাজের দাবিতে আন্দোলন করেছিল আমার ছেলে। তাতে তাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। এবার আমার মেয়ে মীনাক্ষী ভোটে দাঁড়িয়েছে। সেই একই দাবিতে। বেকারদের কাজের দাবি। সকলের জন্য কাজ করছে সে। তাই যদি আমার মেয়েটা যেতে তাহলে আমার ছেলের মৃত্যুর বিচার হবে।”

প্রচারে বাধা প্রসঙ্গে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের জানিয়েছেন যে তাকে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের দাউদপুর এলাকায় প্রচার করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় মেজাজ হারিয়ে মীনাক্ষী তৃণমূলকে তোপ দেগে বলেছেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা বাধা দিয়েছে আমার প্রচারে। পুলিশ কেন্দ্র বাহিনি থাকা সত্ত্বেও একটা প্রার্থীকে হেনস্থা করা হচ্ছে। প্রচারের অধিকার সবার আছে। এতকিছুর পরও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। বোঝা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী বা প্রশাসন কোনো কাজ করছে না।”