করোনা সংক্রমণে অতিষ্ঠ গোটা দেশবাসী। তারমধ্যে নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেনের আঘাতে প্রতিনিয়ত সংক্রমণ হার ও মৃত্যুহার পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। গত বছরের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে চলতি বছরে প্রায় প্রতিদিন ৪ লাখের কাছাকাছি সংক্রমণ হচ্ছে এবং দেশের একাধিক রাজ্যে গণ চিতা জ্বলছে। এই অন্ধকারময় পরিস্থিতির মধ্যে একমাত্র আশার আলো হিসাবে দেখা দিয়েছিল টিকাকরণ। তবে এবার টিকাকরণের সঙ্গী হয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছে DRDO অনুমোদিত নতুন ওরাল ড্রাগ 2-deoxy-D-glucose বা 2-DG। জানা গিয়েছে এই ওষুধটি তৈরি করেছে ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড অ্যালায়েড সায়েন্স এবং ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের জুটি।
আজ অর্থাৎ সোমবার ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন এর এই ওরাল ড্রাগ 2-DG ওষুধের প্রথম ব্যাচের সূচনা করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষ বর্ধন। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার এই নতুন ওষুধ মহামারী মোকাবিলায় যুগান্তকারী তফাৎ আনতে পারে। এই ঔষধ হতে পারে গেম চেঞ্জার। গতবছর করোনার সময় থেকে এই ওষুধের গবেষণা শুরু হয়েছিল। এই বিষয়ে DRDO এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ওই ওষুধের দ্বারা দেখা গিয়েছে হাসপাতলে ভর্তি রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছে এবং তাদের শরীরের বাইরে থেকে অক্সিজেন দেওয়ার প্রবণতা হ্রাস পাচ্ছে।এছাড়া এই ওষুধ দিলে খুব তাড়াতাড়ি রোগীরা নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে খুশির বিষয় এই যে এই ওষুধটি গ্লুকোজের মলিকিউল দিয়ে তৈরি হওয়ায় এটি খুবই সহজলভ্য এবং দাম সাধ্যের মধ্যে হবে।”
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowহায়দ্রাবাদের ডক্টর রেড্ডি ল্যাবরেটরি DRDO এর সাহায্যে এই ওষুধ তৈরির কাজ শুরু করেছে। এই ওষুধটি পাউডারের মত। জলে গুলে খেতে হয়। তারপর ধীরে ধীরে ওষুধের গ্লুকোজ আক্রান্ত কষে ছড়িয়ে পড়বে। তারপর তা ভাইরাসের প্রোটিন উৎপাদন ক্ষমতা প্রতিরোধ করে এবং ফুসফুসের আক্রান্ত কোষে সক্রিয়ভাবে কাজ করে। এই ওষুধে যদি করোনা সেরে ওঠে তাহলে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে মাইলস্টোন তৈরি করবে এই ওষুধ।