“গতকালের কনভয়ে আক্রমণ প্রমাণ করে দিল প্রধানমন্ত্রী বাংলা নিয়ে যা ভাবছে তা সঠিক”, মন্তব্য দিলীপের

Advertisement

Advertisement

আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচন। সব রাজনৈতিক দলগুলি জোরকদমে ভোটপ্রচারের কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে। এরই মধ্যে গতকাল রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের কনভয় লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির ঘটনা ঘটে। তিনি আলিপুরদুয়ারে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছিলেন। সেখানে উত্তপ্ত জনতা তাকে কালো পতাকা দেখায় ও গো ব্যাক স্লোগান দেয়। সেইসাথে তার কনভয় লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগ ওঠে। এর জেরে কনভয়ের গাড়ির কাচ অব্দি ভেঙে যায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে দিলীপ ঘোষ বাংলা রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার জন্য ফের আর একবার অনুরোধ জানায়।

Advertisement

রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “বাংলাতে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু হলেই তার পর একমাত্র অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব। রাজ্যে যে পরিমাণ অরাজকতা চলছে তাতে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের কোন পথ দেখা যাচ্ছে না।” সেই সাথে তিনি গতকালের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হত্যার রাজনীতি বন্ধ করার বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গতকাল নরেন্দ্র মোদী দেশে বাড়তে থাকা বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি কোন রাজনৈতিক দলের নাম না করে বলেছেন,”যারা গণতান্ত্রিক উপায়ে বিজেপির সাথে পাল্লা দিতে পারছে না তারা হত্যার রাজনীতিতে অবতীর্ণ হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মীরা খুন হচ্ছে। যারা ভাবছেন কর্মীদের খুন করে বিজেপির বিজয়রথ থামিয়ে দেওয়া যাবে, তারা সম্পূর্ণভাবে ভুল”। তিনি আরও বলেছেন, “নির্বাচন আসবে। চলে যাবে। তারমধ্যে জয় পরাজয় লেগে থাকবে। কিন্তু নির্বাচনে জেতার জন্য কোন ব্যক্তির খুন করা অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। হত্যার রাজনীতি কোন রাজনৈতিক দল মেনে নিতে চায় না এবং আমজনতারাও এরকম শাসকদল চায় না”। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী নাম না করে বাংলার তৃণমূল সরকারকেই আক্রমণ করেছে।

Advertisement

অন্যদিকে, আদেও বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি সম্ভব নাকি, তার প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কিছুদিন আগেই একটি বৈঠকে বলেছিলেন যে বাংলায় চরম অরাজকতা চলছে। যেখানে সেখানে বিজেপি কর্মী খুন হচ্ছে ও খুনের দায়ভার দলীয় কর্মীর উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও জেলায় জেলায় গজিয়ে উঠেছে বোমা তৈরীর কারখানা। এরকম পরিস্থিতিতে বাংলার বিজেপি নেতারা যদি রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি করে তা খুব একটা অসঙ্গত নয়।