‘সহকর্মী’ বাবুলের ইস্তফা নিয়ে কি বলছেন বিজেপির ‘সিনিয়র নেতা’ দিলীপ ঘোষ?

দিলীপ ঘোষ এর সঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়র যে বনিবনা হতো না সেটা অনেকেই জানে

Advertisement

Advertisement

বাবুল সুপ্রিয় এবং দিলীপ ঘোষের সম্পর্কের তিক্ততার কথা কে না জানে। যারা বিজেপি সম্পর্কে একটু আধটু খোঁজ-খবর রাখেন তারা সকলেই জানেন, ওপরে সহকর্মী হলেও অন্দরে কিন্তু দুজনের মধ্যে চরম প্রতিদ্বন্দিতা রয়েছে। কিন্তু বাবুল সুপ্রিয় যখন সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার এবং বিজেপি পরিত্যাগ করার ঘোষণা করে ফেললেন, তার পরেও দিলীপ ঘোষ দাবি করছেন তিনি নাকি কিছুই জানতেন না।

Advertisement

বাবুল সুপ্রিয় এর ইস্তফার বিষয় নিয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই বলে সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। এ কারণেই বাবুলের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে তিনি কোন রকম ভাবে মন্তব্য করতে চান না তিনি। শনিবার বিকেলে একটি ফেসবুক পোস্ট করে বাবুল সুপ্রিয় সরাসরি জানিয়ে দেন তিনি এবারে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপি ত্যাগ করছেন। পাশাপাশি, তিনি এও জানিয়ে দেন আসানসোলের সাংসদ পদ তিনি ত্যাগ করবেন। দিলীপ ঘোষের নাম না করেও তিনি ফেসবুক পোস্টে তার বিরুদ্ধে কিছু মন্তব্য করেন।

Advertisement

দিলীপ ঘোষের নাম না করে বাবুল সুপ্রিয় বললেন, “ভোটের আগে থেকেই কিছু কিছু ব্যাপারে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে মতান্তর হচ্ছিল – তা হতেই পারে। কিন্তু তার মধ্যে কিছু বিষয় জনসমক্ষে চলে আসছিল। তার জন্য কোথাও আমি দায়ী (একটি ফেসবুক পোস্ট করেছিলাম, যা পার্টির শৃঙ্খলাভঙ্গের পর্যায়েই পড়ে) আবার কোথাও অন্য নেতারাও ভীষণভাবে দায়ী, যদিও কে কতটা দায়ী সে প্রসঙ্গে আমি আজ আর যেতে চাই না – কিন্তু প্রবীণ (সিনিয়র) নেতাদের মতানৈক্য ও কলহে পার্টির ক্ষতি তো হচ্ছিলই, গ্রাউন্ড জিরোতেও পার্টির কর্মীদের মনোবলকে যে তা কোনওভাবেই সাহায্য করছিলো না তা বুঝতে রকেট বিজ্ঞানের জ্ঞানের দরকার হয় না। এই মুহূর্তে তো তা একেবারেই অনভিপ্রেত তাই আসানসোলের মানুষকে অসীম কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানিয়ে আমিই সরে যাচ্ছি।”

Advertisement

যদিও তার এই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সরাসরি মন্তব্য করতে শোনা যায়নি দিলীপ ঘোষকে। তিনি পরোক্ষভাবে জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত তাদের হাতে রেজিগনেশন আসেনি, তাই তিনি মনে করছেন না বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ত্যাগ করেছেন। তার কথায়, “উনি কি এখনো ইস্তফা পত্র জমা দিয়েছেন? উনি এখনো আমাদের সহকর্মী।”