“যা বলা হয়েছে তা মিথ্যে হলে বলুন”, কৈলাস-কুনালের ‘ভাইপো’ ইস্যুতে পাল্টা জবাব দিলীপের

Advertisement

Advertisement

তৃণমূলের মুখপত্র কুণাল ঘোষ কে জবাব দিতে দেখা গেল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। এই দিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়কে নিশানা করে বাক্যবাণ ছুঁড়তে দেখা গিয়েছে কুণালকে। এইদিন কুণাল বলেছেন,”একবাপের বেটা হলে ভাইপো নয়, নাম বলুন।” অন্যদিকে এই কথার উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, যা বলা হয়েছে সব সত্যি। মিথ্যা হলে বলুক।

Advertisement

গত শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে সভা করেছে বিজেপি। সেখানে অনেক কেই দেখা দিয়েছে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিতে। সেই সভায় কৈলাস বাবু বলেন,” বাংলায় তো চলছে কাটমানির সরকার। চাল চুরি করে এই সরকার। আর নেই তাদের দরকার। এই সভায় তিনি আরও বলেন,”তৃণমূলের রাশ তো ভাইপোর হাতে।” অন্যদিকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় জানিয়েছেন,”শুভেন্দুর দল ছাড়া কেবলই সময়ের অপেক্ষা।”

Advertisement

এই সব কথার পরিপ্রেক্ষিতে এইদিন কথা বলেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন,”ভাইপো ভাইপো না বলে, যদি সাহস থাকে তবে নাম বলে দেখান কৈলাশ জি।” তিনি আরও বলেন,” কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সিবিআই এর কথা বলেছিলেন, তাহলে কি সিবিআই তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে। সিবিআই এর কাজ তারা জানছেন কি করে? আসলে রাজ্যের উন্নয়নের মোকাবিলা করতে পারছে না বিজেপি। কেন্দ্রের নীতি নিয়েও ওনারা কিছু বলতে পারছেন না। তাই আমাদের নিয়ে কুৎসা করছেন।” এইদিন গেরুয়া শিবিরের বিপক্ষে এমনটাই অভিযোগ আনতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল মুখপাত্রকে।

Advertisement

এইদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মুকুল রায়কেও নিয়ের বাক্যবাণের সামনে রেখেছেন কুণাল রায়। তিনি বলেন,” সারদা কাণ্ডে তো মুকুল রায় যুক্ত ছিলেন। তিনি আজ বিজেপির সহ সভাপতি। অন্যদিকে তারাই আবার জ্ঞান দেন সারদা নিয়ে। এটা তো ঠিক না।” এইদিন কুণাল বলেন যে তিনি আগেও বলেছিলেন, মুকুল রায়ের সাথে সরাসরি কথা বলতে চান তিনি। যদি বাকিদের নারদ কাণ্ডে জেল হয়ে থাকে, তবে মুকুল রায়ের কেন হবেনা। অন্যদিকে কুণাল ঘোষ বলেন,”২০১৫ সালে বিজেপিরাই স্লোগান তুলেছিলেন, ভাগ মুকুল ভাগ। কিসের ভিত্তিতে এই স্লোগান তোলা হয়েছিল ? আচ্ছা, বলুন তো, বিজেপি কি ওয়াশিং মেশিন? সব দুর্নীতিগ্রস্তদের দলে নিয়ে সব ধুয়ে মুছে নিচ্ছে।”

অন্যদিকে কুণাল বাবুকে উত্তর দিতে দেখা গিয়েছে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। তিনি বলেন,” কৈলাশ বিজয়বর্গীয় মিথ্যে বলেছেন নাকি তা তৃণমূল আগে বলে দিক। আর যদি তারা এতই উন্নয়ন করে থাকেন, তবে ভোট করাতে সমস্যা টা কোথায়? আর মুকুল রায় যদি নারদ মামলায় জড়িত ই থাকেন তবে আদালতে গিয়ে গ্রেফতারের দাবি জানাক ওরা।”