বামেদের হরতাল হলেও আগামীকাল খোলা হবে স্কুল, জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) বলেন,"আমরা সিদ্ধান্ত বদল করব না। আগামীকাল থেকেই খুলে দেওয়া হবে স্কুল কলেজ।"

Advertisement

Advertisement

প্রায় এক বছর পরে আগামী কাল তথা শুক্রবার খুলতে চলেছে বাংলার স্কুলগুলির ঝাঁপ। করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে নবম থেকে দাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস করা হবে। একই সিনে সকাল ৬ টা থেকে ১২ ঘণ্টার জন্য হরতাল ডেকেছে বামেরা। এমন অবস্থাতে স্বাভাবিকভাবেই সংশয়ের মুখে পড়তে বাধ্য হয়েছেন। যদি বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chaterjee) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আগের ঘোষণা অনুসারে নির্ধারিত দিনই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে। তিনি জানান,”আমরা সিদ্ধান্ত বদল করব না। আগামীকাল থেকেই খুলে দেওয়া হবে স্কুল কলেজ।”

Advertisement

বাংলার সরকার এর মধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, অভিভাবকদের সম্মতি না নিয়ে কোনও পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে পারবেনা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আবেদন করেন,”কেউ বাড়ির ছেলে বা মেয়ের অসুস্থতার কথা গোপন করবেন না। মাস্ক, স্যানিটাইজার, দূরত্ব বিধি-সহ করোনা বিধি মেনে স্কুল হবে। প্রশাসনও নজর রাখছে। ঝুঁকি নিয়ে কিছু করা যাবে না। কোন অবস্থাতেই কোভিড বিধি ভঙ্গ করা যাবে না। সবাইকে সতর্ক থাকতে বলছি।” বেসরকারি স্কুলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যদি কোনও ছাত্র ছাত্রী আগের ১৪ দিনের মধ্যে বিদেশে যায় তবে তাকে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। জ্বর, সর্দি, কাশি এমন কী ঠান্ডা লাগার কথাও গোপন করা যাবেনা।

Advertisement

স্কুল খোলার প্রথম দিন সবাই আসছেনা । যেমন কলকাতার বেথুন কলেজিয়েট স্কুলে ক্লাস হবে কেবল দ্বাদশ এবং মাধ্যমিকের ছাত্রীদের। সরস্বতী পুজোর পর নবম থেকে দ্বাদশের সবাইকে স্কুলে আনার কথা ভাবা হবে বলে জানিয়েছেন বেথুনের প্রধান শিক্ষিকা শাশ্বতী অধিকারী। অন্যদিকে, বেসরকারি স্কুলগুলিতে নবম এবং একাদশে অভিভাবকদের একটি অংশ সম্মতি দেননি। আইসিএসই স্কুলগুলির সর্বভারতীয় সংগঠনের সভাপতি সুজয় বিশ্বাস জানিয়েছেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা স্কুল চালু করছি। সম্মতি দেননি এমন অভিভাবকের সংখ্যা কম। কয়েকদিনের মধ্যে নিশ্চয়ই তাঁরা সম্মতি দেবেন।”

Advertisement

করণার কারণে এইবার সরকার নির্ধারত ফি-ও নিচ্ছেনা মেট্রোপলিটন ইন্স্টিটিউশন মেন ফর গার্লস। টানা বন্ধ থাকার পরে স্কুল খোলা হচ্ছে, সেই বিষয়ে স্কুলার প্রধান শিক্ষিকা বলেন,”অভিভাবকদের নিয়ে ইতিমধ্যে ভিডিও কনফারেন্স হয়েছে। সবাইকে সুরক্ষা বিধি মেনে স্কুলে পাঠানোর কথা জানানো হয়েছে। আমরা নিজেরা চাঁদা তুলে কিছু মাস্ক এবং ফেস শিল্ড কিনেছি। পড়ুয়াদের এগুলি বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।”