Categories: দেশনিউজ

Bullet Train in India: এই দিনে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন চলবে, তারিখ জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী

Advertisement

Advertisement

খুব শীঘ্রই বুলেট ট্রেনে ওঠার স্বপ্ন পূরণ হবে ভারতবাসীর। ইতিমধ্যে মিলেছে সবুজ সংকেত। ২০১৫ সালে মুম্বই ও আহমেদাবাদের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালুর কথা ঘোষণা করা হয়। বুলেট ট্রেনের জন্য জাপানের সঙ্গে ভারতের সমঝোতা স্মারক সই ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।

Advertisement

রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, ২০২২ সালের ১৫ অগাস্টের মধ্যে মুম্বই ও আহমেদাবাদের মধ্যে হাইস্পিড রেল চালু করার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হবে। ২০২২ সালের এই গাইডলাইন এক বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সাল পর্যন্ত করা হয়। আর এখন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছেন যে ২০২৬ সালের মধ্যে বুলেট ট্রেন চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে সুরাট ও বিলিমোরার মধ্যে প্রথম বুলেট ট্রেন চালানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কাজটি খুব ভালভাবে চলছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে পরিষেবাটি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisement

আহমেদাবাদ থেকে মুম্বই পর্যন্ত হাইস্পিড রেল করিডর তৈরি করা হচ্ছে, যার উপর দিয়ে বুলেট ট্রেন চলবে। এই ট্রেনের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার। বুলেট ট্রেনটি আহমেদাবাদ এবং মুম্বাইয়ের মধ্যে যাত্রা ২ ঘন্টা ৭ মিনিটে শেষ করবে। বর্তমানে এই দুই শহরের মধ্যে বাসে ৯ ঘণ্টা এবং ট্রেনে ৬ ঘণ্টা সময় লাগে। গত ফেব্রুয়ারিতে আরটিআইয়ের জবাবে এনএইচএসআরসিএল জানিয়েছিল, এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের ১৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। করোনা মহামারি ও ভূমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে প্রকল্পটি বিলম্বিত হয়েছে।

Advertisement

৯০ শতাংশের বেশি জমি অধিগ্রহণ হলেও ১৩৫ হেক্টরের বেশি জমি অধিগ্রহণ হয়নি। মহারাষ্ট্রে জমি অধিগ্রহণে বিলম্ব হচ্ছে। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার যাদব বলেছিলেন, মহারাষ্ট্র প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে চার মাসের মধ্যে ৮০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হবে। তাঁর এই কথা বলার পর দেড় বছর কেটে গেছে এবং এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে প্রয়োজনীয় জমির মাত্র ৭১ শতাংশ অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জমি অধিগ্রহণের পরও ৫০০ কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের একটি প্রকল্প শেষ করতে প্রায় ৫ বছর সময় লেগে যায়। এমতাবস্থায় এ প্রকল্প শেষ হতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। কিন্তু, সমাপ্তিতে যত দেরি হবে, তত বেশি এর ব্যয় বাড়বে।